(তাল-যৎ)
কি দুঃখে গৌর হরি বল কানাই।
ভেঙ্গে বল কানাই, ও তাই শুনতে চাই,
ছিল কিসের অভাব বৃন্দাবনে, আমরা মনে ভাবি তাই।
গোচারণে গোষ্ঠে যেতে, কষ্ট দেখে গোষ্ঠের পথে,
পদ ব্রজে দি নাই যেতে, স্কন্ধে করে নিতাম ভাই।
সাজাইতাম রাখাল রাজা, সব রাখালে করতেম পূজা,
তোর কপালে এতই সাজা, আমরা কি তাই সহ্য পাই।
রবির কিরণে মুখ ঘামিলে পরে, দুঃখে যেত বুক বিদরে,
বংশী বটের ছায়ায় তোরে, সাজাইতাম প্রাণ কানাই।
নূতন পল্লব শাখা ভেঙ্গে, চামর ব্যঞ্জন করতেম অঙ্গে,
এখন কাঁদিস ভক্তের সঙ্গে, ব্যাথার ব্যথিত সঙ্গে নাই।
তোরে গোকুল মা নন্দরানী, দণ্ডে দণ্ডে ক্ষীর ননী,
খাওয়াইত রে নীলমণি, এখন ননী কে দেয় ভাই,
কি দুঃখে ভাই কালশশী, এখন করিস একাদশী,
দু’তিন তিন দিন উপবাসী, দণ্ডধারী রে নিমাই।
তোরে ফুলের শয্যা ফুলবাসরে, রতন বেদীর পরে,
বক্ষে ধরে প্রেমাদরে, ভা’বত কমলিনী রাই,
উচ্চ কুচের আঘাত লেগে, শ্যামাঙ্গে বেদনা লাগে,
সে অঙ্গ তোর কিসের লেগে, ধুলায় ধুসর ছাড়িস হাই।
গোঁসাই গোলকচাঁদকে সঙ্গে নিলি, সাঙ্গোপাঙ্গে উদয় হলি,
ব্রজ হতে ছেড়ে এলি, তোর শরীরে দয়া নাই,
ধরব বলে মনে মানুষ, মহানন্দ খুঁজে মানুষ,
হালছে বেতাল হুশে বেহুঁশ, তারকের আর উপায় নাই।