কেমন দেহভাণ্ড চমৎকার
ভেবে অন্ত পাবে না তার
আগুন জল আকাশ বাতাস আর
মাটিতে গঠন তার
সেই পঞ্চতত্ব করে একত্র
কীর্তি করে কীর্তিকর্মার ।।
মেরুদণ্ড শতখণ্ড
তাহার উপর হয় ব্রহ্মাণ্ড
সাতসমুদ্র চৌদ্দভুবনের
নয় নদী বয় নিরন্তর
ইড়া পিঙ্গলা সুষম্না দেখ
রঙ হয় তিন প্রকার
উপরে ব্রহ্মনাড়িতে ব্রহ্মরন্ধ্রে
রয় মূলাধার ।।
সপ্তদল পাতালের নিচে
চর্তুদল আর
কুলকুণ্ডলিনী সদাই স্থির
তার ঊর্ধ্বে বিজনেতে দশমদল
কমলের উপর মণিপুরের ঘর
তার ঊর্ধ্বে দ্বাদশদলে
ঊনপঞ্চাশ পবনের ঘর
পানঅপান সমানউদানের
ব্যাস হতে গতিকার ।।
ষড়দলে দুলক্ষ যোজনের ’পরে
ষোলকলা গণ্য শরীরে
বিশুদ্বাক্ষ নাম তার ঊর্ধ্বে
মহাজ্ঞানে দ্বিদল কমলের ’পরে
চন্দ্রবিন্দু অঙ্গ ইন্দুরে
জীবের বিন্দু ঝরে
সিন্ধু হয় পাথার
লালন বলে জোড়াপদ্ম নীলপদ্ম
ভেদ কর মন অতিদীপ্তকার ।।