কে তোরে সাজালো রে কুমুদিনী এমন সুন্দর করিয়া।
কেন জলপরির ন্যায় জলের পরে এই সাজ পরিয়া।।
চাঁদের আলো মাখানো ওই কাজলা দিঘির জলে
সেই জলে স্নান করে এলি সোহাগে বিরলে;
তাই তোর রূপের মানিক জ্বলে-
আছিস সরোবরের বিজনতলে কারে স্মরিয়।।
নিশির শিশির ঝরে যেন তোর চোখের জল
ভিজায়ে দিয়ে গেলো তোর খোলা পাপড়ির দল;
পরান বিরহে বিহ্বল-
ও তুই কার লাগি জেগে কান্দিস বল নিশি ভরিয়া।।
ঘোমটা টানা বধু ছিলি পাপড়িঘেরা মুখে
পেয়ে মিলন মধুর লগ্ন এলি নগ্ন বুকে;
পেয়ে পরান বধুকে-
মধুর চাঁদের হাসি আজ তোর মুখে পড়ে ঝরিয়া।।
ফুলের দেশের কালো ভোমর আলোর পাখা মেলি
দিন মানে মধুর তানে করে ফুলকেলি;
তারে রাতে কিই পেলি-
তোর মধুর কৌটা খুলে দিলি কারে বরিয়া।।
পাগল বিজয় কয়, ঐ দূর গগনে ঘোরে নিশাকর
কুমিদিনীর মিলন লাগি সজল নিশাচর;
বাঁধে গোপন ফুলবাসর-
কবে প্রাণবন্ধু মোর গোপন অন্তর নিবে হরিয়া।।