খাকে গঠিল পিঞ্জরে
এক শুকপাখী আমার কি সে গঠেছে রে।
পাখী পুষলাম চিরকাল, নীল কি লাল
একদিনও দেখলাম না সে রূপ সামনে ধরে।।
আড়া থাকে পিঞ্জিরা বর্ত
আতসে হইল পোক্ত
পবন ছাড়া সেই ঘরে;
আছে শুকপাখী সেথায়, প্রেমের শিকল পায়
আজব খেলা খেলছে গুরু গোঁসাই মেরে।।
কিবা রে পিঞ্জিরার ধ্বজা
নিচে উপন নয় দরজা
কুঠরি কোঠা থরে থরে;
আছে পঞ্চ কুঠরি আছে মুলাধারী
মুলধারের মূল শূন্য ভরে।।
করে আজব কারিগরি
বসে আছে ভান মিস্ত্রী
সেই পিঞ্জরার বাইরে:
পাখীর আসাযাওয়া দ্বার মনির পর
ফকির লালন বলে কেউ জানতে পারে।।