(তাল – গড়খেমটা)
গুরু পুণ্য ফাঁসি গলায় দিলে ধর্মবেড়ী পায়।
লয়ে তত্ত্বমসি দাঁড়াও আসি যাতে মোর মুক্তির বন্ধন কেটে যায়।।
ভুক্তি মুক্তি দুই চাপড়াশী, আমায় ভোগবিলাসে অষ্টপাশে বাঁধতে চায় আসি,
তাই দেখে চিন্ত মহিষী, নয়ন জলেতে বয়ান ভেসে যায়।।
নিবৃত্তি নামেতে ভগিনী, আমার বন্ধন দেখে, মন দুঃখে হয় বিষাদিনী,
আমার শান্তিময়ী জননী যিনি, ঐ দুঃখে পাষাণে বুক বেঁধে রয়।।
গুরুকৃপা সত্যের কাছারী, হয়ে শশব্যস্ত, এই দরখাস্ত করি হুজুরী,
যেন স্বর্গ জেল এড়াতে পারি, নিবেদন করি গুরুর রাঙ্গা পায়।।
বিবেক নামেতে ভাই আমার, আপীল করতে প্রেম বিলাতে হলেন অগ্রসর,
রেখে অনুরাগ ভক্তি জুড়িদার, শ্রদ্ধা অর্থব্যয় করল এ মামলায়।।
তারকচাঁদ কেঁদে কেঁদে কয়, এই মানসা ওড়াকান্দী, হরিচাঁদের পায়,
অশ্বিনী যদি খালাস হয়, চির দাস করে দিব রাঙ্গা পায়।।