গুরু বলে যারে ডাকি সে মানুষটি কে।
যার জন্য শিব যোগী শ্মশানে থাকে।।
দীক্ষা গুরু শিক্ষাগুরু মাতা পিতা বর্তমান,
মনে মান কর্ণে শুনে, নয়নে তার দেয় প্রমাণ,
কর্ণে মুনে জিহ্বায় কয়, সাক্ষীতে হয় মামলা জয়,
শত কোটি জীব উদ্ধার হয় চোখের একটি পলকে।।
হাজার হাজার কর্ম করি হাজার হাজার কর ঘুরাই,
বীজের উদ্ধার না করিলে জীবের উদ্ধার নাইরে ভাই,
বীজের উদ্ধার করে যে, দীক্ষা শিক্ষার গুরু সে,
তা না জেনে ভজি মোরা, বুড়া ঠাকুর ভেড়াকে।।
কোন গুরু শ্রীপাদ পদ্মে গয়া কাশী বৃন্দাবন,
কোন গুরুর নাম করিলে ভয়ে পলায় কাল সমন,
কোন গুরুর পাতের ভাত, সর জেতে খার সর্ব জাতে, খায় একই সাথে,
চণ্ডালে রাখিয়ে দেব ব্রাহ্মণের মুখেতে।।
কোন গুরুর শ্রীপাদ পদ্মে রঘুমনির দরশন,
গোলকে পলকে হয় গুরু শিষ্য সম্মিলন,
পূর্ণ চন্দ্র ভগবান, যার হৃদয়ে বর্তমান,
চাঁদ ধরা চাঁদ বলাই কয়, দযা কর রূপইকে।।