ঘর ভাঙ্গবে তোর আজ না হয় কাল
কালবৈশাখীর ঝোড়ে মেঘ
সে ঘরে তুই আছিস দিন কয়েক
ও তোর রং করা ঘর ঘুণে জারা
জং ধরা লোহা পেরেক।।
চৌদ্দপোয়া চৌহদ্দি করে
যুত লাগাইছে দুই খুঁটির পরে;
আট কুঠুরি নয় দরজা সাত তালা ঘরে
ঘরে বাস করীর তুই জনম ভরে
চিনলি না ঘরের মালেক।।
সুখের নেশায় রয়েছিস বিভোর
দুই চোখে তোর মোহঘুম ঘোর;
নয় দরজা আটকানো নয় খোলা সকল দোর
ঘরে প্রহরী এক জন মাত্র তোর
চোর জুটেছে জনছয়েক।।
জানিস না সে প্রহরী কেমন
নিয়ত জোগায় পরের মন;
ঘরের লোক ভোগায়ে মারে স্বভাব তার এমন
তারে কেমন করে করবি শাসন
হারায়েছিস জ্ঞান বিবেক।।
মণিকাঞ্চন পরিপূর্ণ ঘর
সময় থাকতে তাহার সন্ধান কর;
এ ঘর বলে উঠবে না আর দুই খুঁটির উপর;
ও তুই পাবি রে সেই রক্তের আকর
যত্ন করে কৌশল শেখ।।
গুরুকৃপা লভিয়ে ভবে
অজানা ঘর জানিবে কবে;
প্রহরী হুঁশিয়ার হয়ে পাহারায় রবে
পাগল বিজয় বলে, সেই দিন হবে
আত্মাতত্বে অভিষেক।।