জিন্দ পিরের মাজার একখান যেয়ে দেখ সুন্দরবন
বাঘের ডাকে অন্তর কাঁপে হুহু করে সমীরণ।।
চিতাবাঘ আর ফুলেশ্বরী বেড়াভাঙ্গা লোহাজুরি
চার রকমের হিংস্র বনে ঘুরে বেড়ায় ইচ্ছ মতন।।
দেখিলে তার মুখের দাঁড়ি শত শত বাঘ শিকারী
গুলি আর বন্দুক ছাড়ি পড়িয়া হয় অচেতন।।
বুকে পিঠে নিশান করে কেহ যদি গুলি ছোঁড়ে
লাফ দিয়া সে পড়বে ঘাড়ে চোখ ঘুরাইয়া ঘন ঘন।।
রাজা বাদশা কতই আইল কত রঙ্গের মানুষ খাইল
দন্ত নাহি দীঘল মুখে কই নিয়া সে করে গোপন।।
পিরের দোহাই দিলে পরে সকল বাঘেই মান্য করে
চুপে চুপে রাস্তা ছাড়ে কোনমতে রহে জীবন।।
নাক পেঁচা বাঘ কোমর উঁচা এরে কেউ দিও না খোঁচা
রক্ত খেয়ে করবে চোঁচা জালালে কয় রেখ স্বরণ।।