শ্রীশ্রীগুরুচাঁদ মাহাত্ম্য।
পয়ার
ঠেকিয়া রোগের দায়, যায় প্রভু স্থানে।
অমনি আরোগ্য হয় মুখের বচনে।।
ডুমরিয়া বাসী মহা ভারতের নারী।
প্রভু স্থানে গেল এক পুত্র কোলে করি।।
সেই বালকের প্লীহা যকৃত লীভার।
ছেলের বয়স প্রায় সপ্তম বৎসর।।
হাত পা গিয়াছে খেয়ে জাগিয়াছে হাড়।
ঘন ঘন শ্বাস বহে প্রাণ ধড়পড়।।
অদ্য কি কল্য মরিবে চলিতে অচল।
হাতপায় শোথ বয় করে টলমল।।
প্রভুর নিকটে গিয়া দিল ফেলাইয়া।
মৃত্তিকা উপরে তারে রাখে শোয়াইয়া।।
প্রভু বলে এ বালক আনিয়াছে কেটা।
মরিবেনা এ বালক উঠা উঠা উঠা।।
তিল চাউলের ছাতু পাকা রম্ভা দিয়া।
খাওয়াও পিতলের পাত্রেতে মাখিয়া।।
সরিষার তৈল তার সর্ব অঙ্গে মেখে।
নিশি ভোরে সপ্তা খাওয়াও এ বালকে।।
বালকের মাতা কহে ধরিয়া চরণ।
এই সপ্তদিন এর রবে কি জীবন।।
প্রভুর চরণ ধরি ফুলে ফুলে কাঁদে।
মরুক বাঁচুক প্রভু রেখ এরে পদে।।
প্রভু কহে এই রোগে যদি মারা যায়।
আমি তোর ছেলে হ’ব কপালে যা হয়।।
এই ছেলে সপ্তদিন মধ্যেতে সারিব।
এই পুত্র মরে যদি আমি ছেলে হ’ব।।
এত বলি দিল তার মাতা ল’য়ে গেল।
সপ্তাহ মধ্যেতে ছেলে আরোগ্য হইল।।
অমনি আরাম ছেলে রূপবান হল।
কোন দিনে কোন ব্যাধি নাহি যেন ছিল।।
যে রোগের বৃদ্ধি যাতে তাই বলে খেতে।
অমনি আরোগ্য ব্যাধি মুখের বাক্যেতে।।
একদিন গোঁসাই আমাকে সঙ্গে করি।
ভক্তের ভবনে যান বলে হরি হরি।।
যাত্রা করিলেন গ্রাম নারিকেল বাড়ী।
যাইতেছি মহানন্দ পাগলের বাড়ী।।
গোঁসাই নিকটে বসি চিন্তিত অন্তর।
অন্তরে ভাবনা যে বাঁধিব এক ঘর।।
কিরূপে বাঁধিব ঘর উঠা’ব কিরূপে।
ইহাই ভেবেছি বসে ঠাকুর সমীপে।।
প্রভু বড় দর্প করি কহে সে সময়।
কোথা বা বসিয়া আছ, গিয়াছ কোথায়।।
এই পদ্মবনে দেব কমলার স্থিতি।
পদ্মবনে সদা হরি করেন বসতি।।
শুনিয়াছ ভারতের প্রথম প্রস্তাব।
এই পদ্মবনে বাস করেন মাধব।।