ডাকিও না রে শ্যামের বাঁশি আমার ঘরে বাদী গুরুজনা
বারে বারে অবলারে আর জ্বালা দিও না।
থাকিয়া থাকিয়া ডাকিয়া বাঁশি কেন দেও রে যন্ত্রণা
জানিয়া কি জান না বাঁশি বাঁশি আর জ্বালা দিও না।
নিরলে নিরতে পাইলে করমু বাঁশি আলোচনা
থাকিয়া থাকিয়া ডাকিয়া মোরে দেরায় কত লাঞ্ছনা।
তোমার ডাকের জ্বালায় চঞ্চল সদায় চিত্ত না
শ্বাশুড়ী ননদী বাদী করে কতই গঞ্জনা ।
কুলমান সব নিলায় ডাকিয়া পরাধীনা
তোমার পদে দাসী হইতে পন্থ খুঁজি পাই না।
ভাবিয়া রাধারমণ বলে তোমায়া করি মানা
কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা ডাকিয়া আর দিও না।