(তাল – একতালা)
ডুবল দিনমণি এল রজনী
দিবা অবসানে সন্ধ্যায় কর, হরিনামের ধ্বনি।
ও তাঁর নামের বলে, পাষাণ গলেরে, উজান বহে তরঙ্গিণী।।
শ্রীহরির চরণ আমি, করজোরে বন্দি,
জন্ম সফলা নগরী, বসত করে ওড়াকান্দী।
ও তাঁর রূপে জগৎ আলো করে রে’ অন্নপূর্ণা তার জননী।।
আমি কৃষ্ণদাসের চরণ বন্দি, বন্দি বৈষ্ণব দাসের পায়,
গৌরিদাস স্বরূপদাস বন্দি, বন্দি কাতর হৃদয়।
দয়াল গুরুচাঁদের চরণ বন্দিরে, বন্দি সত্যভামার শিরোমণি।
শ্রী শশী সুধন্য চাঁদের, বন্দি শ্রীচরণে
উপেন্দ্র, সুরেন্দ্র বন্দি, বন্দি অতি যতনে।
আমি বন্দি কায়মনে, শ্রীপতির চরণে, বন্দি মঞ্জুলিকার পা দু’খানি।।
বিশ্বনাথের চরণ বন্দি, বন্দি ব্রজনাথের পাও,
ব্রজনাটুর চরণ বন্দি, আমায় ঐ চরণে নেও।
আমি মাতা পিতার চরণ মন্দিরে, হয়ে আমি দীন দুঃখিনী।।
তার পরে বন্দনা করি, দশরথ গোস্বামী,
মৃত্যুঞ্জয়ের চরণ বন্দি যাহার, ভক্তি বাধ্য অন্তর্য্যামী।
আমি বদন গোসাইর চরণ’ বন্দিরে,
হরিনাম বিনে নাই অন্য বাণী।।
গোলক চাঁদের চরণ বন্দি, বন্দি হীরামণের পায়,
লোচন গোসাইর চরণ বন্দি, বন্দি শ্রীহরির দয়ায়।
গোসাই তারক চাঁদের চরণ বন্দিরে,
হরি লীলামৃত লিখিলেন যিনি।।
আমি তা’পরে বন্দনা করি, হরি গোসাইর শ্রীচরণ,
জীবন অন্তকালে যেন, করি ঐ রূপ দরশন।
মাতা হরিদাসীর চরণ বন্দিরে,
হরি গোসাই যার হৃদয় মণি।।
আমি এই সকল গোসাইর চরণে, করি যে মিনতি,
ভক্তি শূণ্য দীন দৈন্য, আমার কি হবে গতি।
অধম দীন দৈন্য, হৃদয় মাঝে সদায়, হরি হেরি যেন মুরতি খানি।।
……………………………
সন্ধ্যা আরতি
রাগিনী শানিরা