(তাল-কাওয়ালী)
কাল ঘুমে ঘুমিয়ে কেন রলি অচেতন
এই ভাবে কি জনম যাবে ওরে পাষান মন।।
ও তুই দেখ না চেয়ে দু নয়ন মেলিয়ে,
দীপ্ত ময় হইল ভাই, এ বিশ্ব ভুবন।।
১। পুর্ব্বা পুরুষ ভেবে ছিল উচ্চ বর্ণেতে,
ভগবান জম্মিয়া ছিল দীজ কুলেতে।
ঐ কুলে গুরু করিলে, ভগবান পাব সকালে,
তাই যেনে ঐ চরণে, লোটায় সর্ব্বজন।।
২। খাড়া পাতায় লিখে গেল পূর্ব্বা – পুরুষগণ,
এখন কি খাড়া পাতায় লিখিয়ে,
নিজের বুঝ ভাই নেও বুঝিয়ে,
এমন সুদিন আর পাবেনা কখন।।
৩। উচ্চ কুলে গুরু করে এলি চিরকাল,
পাতিয়া গিয়াছে তাঁরা, এসব কৌশল।
যত পূজা বেদ বিধি, গঠন করল ব্যবসা আমি,
এখন ঐ ব্যবসায় তারা হয় পরিপোষণ।।
৪। (উচ্চ) কুলের গুরু না ধরিয়া, ভাবুক চিনে ধর,
তন্ত্র মন্ত্র ছেড়ে দিয়ে, হরি কর সার।
যদি উদ্ধার হতে চাও, অন্য পূজা ছেড়ে দাও,
হরি গুরু পূজায় থাকো সতত মগন।।
৫। কলিতে হরিনাম যজ্ঞ ভাগবতে পাই,
হরি-গুরু পূজা ভিন্ন, অন্য পূজা নাই।
মনকে কর সরল সূক্ষ্ম, আর থেকনা হয়ে মূর্খ,
পূজ সবে যে যেই তন্ত্রে আছ উপাসন।।
৬। নানা পূজায় কি ফল হবে, বল দেখিরে ভাই,
অন্তিম কালে এসে উদ্ধার, করবেন কোন গোসাই।
যদি বল আল্লা হরি, কে নিবে ভাই উদ্ধার করি,
মনের ময়লা কর হরি নামেতে খন্ডন।।
৭। হরি ধরায় অবতীর্ণ, অন্ধকার আর নাই,
সর্ব্ব জীবে পুলকিত, সুখের সীমা নাই।
কুল গুরুর বিচার ছাড়, মন গুরু জড়িয়ে ধর,
হরি গোসাইর করণ কর দীনা অভাজন।।
……………………….
রাগিনী-বিরোলা