(রাগিণী সিন্ধু ভৈরবী-তাল মধ্যমান)
তিন্ তারের এক বীণা আছে।
নিজ করে বীণে ধরিয়ে ত্রিগুণে, আপনি আপন বাজাইতেছে।।
যন্ত্র মুখে তার, আছে মন্ত্র ভরা, বেদ বিধি শাস্ত্র, তন্ত্র গ্রন্থ ছাড়া
সদা রন্ধ্র মূলে, খেলে কুতূহলে, হংস হংস ব’লে ডাকতেছে।।
তার তারে তার দিতেছে ঝঙ্কার, সঙ্গে সঙ্গে তার বায়াত্তর হাজার
বাজে মূলাধার, বাজে সহস্রার, বহুরূপী তায় আনন্দে নাচে।।
বাজে কত তাল, খেমটা খেয়াল, ব্রহ্ম রুদ্র পট, আদ্ধা চৌতাল
সুরতাল রঙ্গে ভ্রূকুটি ভ্রূতঙ্গে, তরঙ্গে তরঙ্গে হাসতেছে।।
কখন কান্দে, কখন কেন যেন হাসে, শিশুর অধরে সে নিশানা ভাসে
মনোমোহন তার, মন অভিলাষে, তাঁহারি তালাসে, ছুটিয়াছে।।
এ যন্ত্র সাধনা, কে শিখায়ে দিবে, কোথা সেই যন্ত্রী, কে তারে ধরিবে
সহজে সেই যন্ত্রে, জাগে যেই অন্ত্রে, অনুমান তন্ত্রে, যেয়ে পাছে পাছে।।
ঝঙ্কারে ঝঙ্কারে, উঠিলে মাতিয়া, হুঙ্কারে যে যন্ত্রী, আপনি জাগিয়া
খেলিয়া, খেলিয়া, খেলা শিখাইয়া, হাসিয়া কান্দিয়া টেনে লয় কাছে।।
……………………………
আরো পড়ুন: মহর্ষি মনোমোহন ও মলয়া সঙ্গীত