(তাল-কান্ডয়ালি)
তুই করলি না তোর দেহের নিরুপণ।
হারাইলি আত্ম তত্ত্ব, পরমার্থ গুরুতত্ত্ব পরম ধন।।
১। নয়টি জেলায় দেহরাজ্য, পেয়াদা, মৃধা পঞ্চ বাধ্য,
ছয় জনেতে তহশীলদারী, করেন গ্রাহ্য।
নবীন রাজা নামটি ধরি, বসে আছে অন্তপুরি,
ঘুমের ঘরে কপাট মারি, আছে মুমেতে অচেতন।।
২। ছয় জনে ছয় তহশলি নিয়ে, ভ্রমে জিলা মোকাম মিয়ে
তহশলি করে সন্ধ্যানেতে, অতি গোপনে।
তহশীলের মাল করে চুরি, তিলেক মাত্র হয়না দেরি
সহরিয়া চোর সন্ধান ভারি, দিক ভুলায়ে করে হরণ।
৩। তাতে তিন মহকুমা চারটি থানা, লোভি কামুক যেতে মানা
গেলে পরে ঘটে যন্ত্রনা, সেই রাগ দরবারে।
স্থুল, প্রবর্ত্ত, সাধক, সিদ্ধি, চার থানার চার নিয়ম বুদ্ধি
হাকিম হয় তার সর্ব্ব সিদ্ধি, হুজুরে হয় বিচার পতন।
৪। মেরুদন্ডের দক্ষিণভাগে, পিঙ্গলা নাড়ী বিরাজ করে,
মধ্যেতে সুষুুা থাকে, ইড়া নাড়ীর যোগে।
রাজার হল এই তিন নারী, চলে তারা দ্রুত ভারী,
কফ, পিত্ত, বায়ু লয়ে চলেতেছে, সেই নারী তিন জন।।
৫। ইড়া, সুষুুা, পিঙ্গলা, সত্ত্ব, রজ, তম গুনে করে খেলা,
যে দিন তারা হয় উতলা, জীবের সারা দায়।
ভেবে বলে হরি গোসাই, দীনবন্ধু তোর রক্ষা নই,
হারাইলি আত্ম তত্ত্ব, চিনলি না সেই ড়গুরু কি ধন।।
……………………………..
তত্ত্ব গীতি
রাগিনী-মেনলোহই