তুলসীমালা ধারণ মন্ত্র
তুলসী কাষ্ঠসম্ভুতং মাল্যং। কুজ্ঞজনপ্রিয়ং।
বিভর্মি ত্বামহং কণ্ঠে কুরু মাং কৃষ্ণবল্লভং।।
তথা মাং কুরুদেবেশি! নিত্যং বিষ্ণুজন-প্রিয়:।।
দানে লা ধাতরদ্বিষ্টো লাসি মাং হরিবল্লভে।
ভক্তেভ্যশ্চ সমস্তেভাস্তেন মালা নিগদ্যসে।।
তুলসী মালা-মাহাত্ম্য
তুলসীকাষ্ঠমালঞ্চ কণ্ঠস্থাং লহতে তু য:।
অপাশৌচোহপ্য নাচারো মানব: শুচিরের চ।।
(তথাহি হরিভক্তিবিলাসে)
অপবিত্র অনাচারী হয় যেই জন।
তুলসীর মাল্য কণ্ঠে করয়ে ধারণ।।
দেহস্থিত পাপ তার কভু নাহি রয়।
অশুচি হইবে শুচি শাস্ত্রে হেন কয়।।
তুলসীর মালা কণ্ঠে ধারণ করিয়া।
জনার্দ্দন পূজে কেহ ভক্তিযুক্ত হৈয়া।।
অযুত সংখ্যক ধেনু দানে যেই ফল।
সেইমত লভিবেক অবশ্য সুফল।
তুলসীর মালা কণ্ঠে থাকায়ে যাহার।
দৈত্যনিসুদন হরি হরে পাপ তার।।
তুলসীর মালা থাকে বহু কিংবা শিরে।
যোজনের পথে থাকি কৃজ্ঞ তারে হেরে।।
অশৌচ কি প্রায়শ্চিত্ত নাহি তার দেহে।
শমনের ভয় তার সদ্য দূরে রহে।।
কণ্ঠে তুলসীর মালা করিয়া ধারণ।
দৈব কিংবা পিতৃকার্য্য করে সম্পাদন।।
যমরাজে ভয় তার না রহে কখন।
আপনি করয়ে কৃপা দেব নারায়ণ।।
রোপন লেপন আর দর্শন স্পর্শন।
ধেয়ান প্রণাম আর শ্রবণ কীর্ত্তন।।
পূজন সহিত করে নববিধা ভক্তি।
পুনর্জ্জন্ম নাহি তার অবশ্যই মুক্তি।।
তুলসী মাহাত্ম্যা কথা করিনু বর্ণন।
মনযোগ দিয়া শুন যত ভক্তগণ।
এবে কহি শুন সবে মালা বিবরণ।
মালার উৎপত্তি আর মালার গ্রন্থন।।