শ্রীসুধন্যচাঁদ চরিত সুধা।
পয়ার
তৃণাদপি সুনীচেন বাক্য মাত্র জানি।
বৈষ্ণব ধর্মের শ্রেষ্ঠ এই মাত্র জানি।।
সে বাণী আদর্শ কর জীবন গঠন।
করেছে কি না করেছে জানিনা কখন।।
জীবনে সাক্ষাৎ যেন বিনয়ের মূর্তি।
সুধার আধার চাঁদ ষোলকলা পূর্তি।।
বিনয়ের অবতার শ্রীসুধন্যচাঁদ।
স্মরিলে যাঁহারে খণ্ডে শত অপরাধ।।
আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখায়।
শতকোটি প্রণিপাত করি তার পায়।।
গৃহ ধর্মে অনুরাগী কর্মব্রত সদা।
অতিথি, মতুয়া ল’য়ে সদাই ব্যস্ততা।।
বাল বৃদ্ধ যুবকের অগ্রে করে নতি।
শ্রীশ্রীঠাকুরের পায় সদা ছিল মতি।।
অহং বোধ জ্ঞান শূন্য পিতৃগত প্রাণ।
বলিতেন যান হেথা আছে গুরুচাঁন।।
সতত যেমনি শত নদ নদী খাল।
গতি পায় যদি লভে সিন্ধু সুবিশাল।।
গুরুচাঁদ মহাসিন্ধু তরাবার তরে।
শত শত নদ-নদী শ্রীঅঙ্গেতে ধরে।।
ভক্ত যারা তারা নদী সিন্ধু গুরুচাঁদ।
ভগীরথ সম ডাকে শ্রীসুধন্যচাঁদ।।
ছায়ার সমান সদা পিতৃ সঙ্গ ধরি।
গোপনে মহৎ কার্য বহু যান করি।।
তেজারতি মহাজনী সর্ব কর্মভার।
হাসিমুখে বহিতেন তিনি কর্ণধার।।
শাস্ত্র গ্রন্থ অধ্যয়ন বহু গ্রন্থ রচি।
সর্ব কর্মে সম পটু যেন সব্যসাচী।।
শ্রীশ্রীহরিঠাকুরের অপূর্ব জীবনী।
লিপিবদ্ধ করেছেন জ্ঞান রত্ন খনি।।
একদা নিশীথ কালে লিখিতে লিখিতে।
বহু রাত্র কেটে গেল দেখিতে দেখিতে।।
ঠাকুরের নাম স্মরি করেন শয়ন।
সহসা আলোকরশ্মি ধাঁধিল নয়ন।।
দিব্য গন্ধ দিব্য জ্যোতিঃ পরিপূর্ণ কক্ষ।
মহাভাবে পুলকিত কম্পমান বক্ষ।।
কোনদিন কোন মাল্য দিতেন না গলে।
হেরিলেন দিব্য মাল্য কণ্ঠে তার দোলে।।
ভক্ত শিরোমণি সাধু মহা পুণ্যবান।
ঠাকুরের অনুগ্রহে লভে দিব্য জ্ঞান।।
এইমত বহুলীলা করি মহীতলে।
রথযাত্রা দিবসেতে স্বর্গে যান চলে।
তেরশ পঁয়ত্রিশ সাল পাঁচই আষাঢ়।
রথযাত্রা ধুমধাম অতি পুণ্যকর।।
স্বর্গ হ’তে আসি রথ ভক্তে যায় লয়ে।
শ্রীপতিচাঁদের চক্ষে অশ্রু যায় বয়ে।।