ভবঘুরেকথা

শ্লোক
পরিত্রানায় সাধুনাং বিনাশয় চ দুষ্কৃতম্।
ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।।

পয়ার
এ তোমার স্বীয় কার্য না করিলে নয়।
যার যে স্বভাব তাহা খণ্ডন না যায়।।
মনে ভাবি হেন কর্ম না করিব আর।
স্বভাবে করায় কর্ম দোষ কি আমার।।
তব দয়া লীলাগুণ নামগুণ কত।
কে বর্ণিতে পারে তাহা অক্ষম অনন্ত।।
যা কিছু বর্ণনা করি বলিবারে চাই।
বর্ণনায় দোষ তার তুলনাই নাই।।
যদ্যপি ভর্ৎসনা করি তবু তুমি সাঁই।
জিহ্বা মন বাক্য তুমি গোলোক গোঁসাই।।
বিধি বিষ্ণু শিব তোমা চিনিতে না পারে।
বর্ণে হারে বর্ণেশ্বরী বাগীশ্বরী হারে।।
অনন্ত তোমার লীলা বুঝে শক্তি কার।
বিধি হর হারে আর মানব কি ছার।।
ভাগবতে শ্রীমুখেতে করেছ স্বীকার।
আমার যে লীলা তা আমার বোঝা ভার।।
ভাল হ’ল ব্যাধি হ’ল মঙ্গল লাগিয়া।
পাইনু পরম পদ সেই হেতু দিয়া।।
এই মত স্তুতি বাক্য বলিতে বলিতে।
বেলা অপরাহ্ণ হ’ল বিশুদ্ধ ভাবেতে।।
প্রভু বলে যা গোলোক যা এখন ঘরে।
ভক্তিগুণে বন্দী রহিলাম তোর তরে।।
গোলোক বলিছে আর নাহি দিব ছাড়ি’।
ভক্তি নাই দয়া করে চল মম বাড়ী।।
ঠাকুর বলেন বাছা তুমি যাও ঘরে।
তুমি যাও এবে আমি যা’ব তার পরে।।
ঠাকুরে প্রণাম করি গোলোকে উঠিল।
হরিধ্বনি দিয়ে গৃহে হাঁটিয়া চলিল।।
সভাতে যতেক লোক ছিলেন বসিয়া।
সবে করে হরিধ্বনি আশ্চর্য মানিয়া।।
ঘরে ঘরে হুলুধ্বনি করে রামাগণে।
গোলোক উদ্ধার হ’ল কয়ে সর্বজনে।।
হরিচাঁদ ল’য়ে যত ভক্তগণ সাথে।
মাঝে মাঝে যান সে গোলোকের বাড়ীতে।।
মহানন্দ চিদানন্দ সৌরকর রাশি।
দিবানিশি সমভাতি গার্হস্থ সন্ন্যাসী।।
শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত পদ্ম প্রস্ফুটিত।
ভক্তবৃন্দ পদ্মমধু পিয়ে সর্বজীবে।
রসনা রসনা হরি হরি বল সবে।।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!