(তাল-একতাল)
ত্বরায় চল ভবপারে যাই, হরিনাম তরনী এল ভাই।
হরিনাম তরণী নৌকা খানি কান্ডারী দয়াল নিতাই।।
হরিনামের তহরণী, বোঝাই প্রেম পরশ মণি,
ভক্তি রতন থরে থরে রূপের ছৈ খানি;
তাতে শ্রদ্ধা ক’রে, চ’ড়লে পরে, পরে যেতে বাধা নাই।।
আমার হরি দয়াময়, ঠেকে জীবের পারের দায়,
কলির শেষে বঙ্গদেশে হ’য়েছে উদয়;
মুখে বল্লে হরি, নাইকো দেরী, পার করে আপত্তি নাই।।
বড় দয়াল অবতার, হয় নাই হবে নারে আর,
অনর্পিত নাম দিতেছে নিয়ে পাপের ভার।
ও সে বিনামূল্যে পার ক’রে দেয় এমন দয়াল দেখি নাই।।
যা’হোক তিন যুগেরই পর, ঘাটের উঠে গিছে কর,
হরিচাঁদ পাটনি এল অনেক দিনের পর;
কত দুঃখী তাপী পার করে দেয়, ভব পারের মাশুল নাই।।
দয়াল মহানন্দ কয়, পারে কে কে যাবি আয়,
পুস্পবন্ত যোগ হয়ে’ছে, জীবের ভাগ্যোদয়,
গোঁসাই গুরুচাঁদের দয়া বিনে অশ্বিনী তোর উপায় নাই।।
(হরিবল বলরে)