বিষ্ণুস্তোত্র
[ত্রিপদী]
ত্রিনাথ কেশব নাম, তুমি হে পুরুষোত্তম
চতুর্ভুজ গরুড়বাহন।
জলদ-বরণ ছটা, হৃদয়ে কৌস্তভ-চ্ছটা।
বনমালা গলে সুশোভন।
করেতে মোহন বাঁশি, মুখেতে মৃদু হাসি।
কৃপাকর কমললোচন।
জগন্নাথ মুরহর, পদ্মনাভ গদাধর
মুকুন্দ মাধব নারায়ণ।
রামকৃষ্ণ জনার্দন, লক্ষ্মীকান্ত সনাতন
হৃষিকেশ বৈকুণ্ঠ বামন।
শ্রীনিবাস দামোদর, জগন্নাথ যজ্ঞেশ্বর
বাসুদেব শ্রীবৎস লাঞ্ছন।।
শঙ্খ-চক্র-গদাম্বুজ, সুশোঝন চারিভূত
মনোহর মুকুট মাথায়।।
কিবা মনোহর পদ, নিরূপম কোকনদ
রতন নূপুর বাজে তায়।।
পরিধান পীতাম্বর, অধর আন্ধুলি বর
মুখ-সুধাকরে সুধা হাসে।
সঙ্গে লক্ষ্মী সরস্বতী, নাভি পদ্মে প্রজাপতি
রূপে ত্রিভুবন পরাকাশে।।
ইন্দ্র-আদি সুর সব, চারিদিকে করে স্তব
নারদাদি ঋষি যতজন।
মুনির বীণার তানে, মোহিত যে গুণগানে
পঞ্চমুখে গান পঞ্চানন।।
কদম্বের কুঞ্জবনে, বিহর আনন্দ মনে,
শীতল সুগন্ধি মন্দ বায়।
ষড়ঋতু সহচর, বসন্ত লইয়া শর
নিরবধি সেবে তব পায়।।
গুণ গুণ ভৃঙ্গ রব, কুহরে কোকিল সব
পূর্ণচন্দ্র শারদ যামিনী।
বীণা-বাঁশি আদি যন্ত্রে, গান করে তালে ছন্দে
ছয় রাগ ছত্রিশ রাগিনী।।
উর প্রভু শ্রীনিবাস, দাসের পুরহ আশ
মোর সদা এই আকিঞ্চন।
করি এই নিবেদন, দিও প্রভু শ্রীচরণ
অনাথের নাহি কোন জন।।