শিক্ষাগুরু কেমন বা সাধন কেমন।
পরক্রিয়া ধর্ম্ম আর তত্ত্ব নিরূপণ।।
শিক্ষাগুরু করি জানে গোস্বামীর ধর্ম।
অন্তর্য্যামী সাধু হয়ে জানে সব মম্র্ম।।
এবে কহি শিক্ষাগুরু যেইমত হয়।
সেইমত শিক্ষাগুরু করহ আশ্রয়।।
সর্ব্ব অভিমান ছাড়ি ধরহ চরণ।
রাধিকা স্বরূপ জানি শিক্ষাগুরু হন।।
শিক্ষাগুরু করি ভজ তাহার চরণ।
তিনি যাহা আজ্ঞা দিবে করহ গ্রহণ।।
শিক্ষাগুরু ভাজিলেই ব্রজপ্রাপ্তি হয়।
চক্ষুদান না হইলে কভু প্রাপ্তি নয়।।
অতএব মুন ভাই করি নিবেদন।
সদা শিক্ষাগুরু সবে করহ চিন্তন।।
পরকিয়া রাধা ভাবে বাণেতে সে হয়।
পরতত্ত্ব আরো পরক্রিয়া সে নিশ্চয়।।
শিক্ষাগুরু পাশে সব পাবে বিরণ।
গোস্বামীর অনুগত প্রণালী গ্রহণ।।
দীক্ষাগুরু বীজমন্ত্র কৃপা করি দিল।
শিক্ষাগুরু বীজ মন্ত্রে পুন: দীক্ষা কৈল।।
দীক্ষাগুরু হন কৃষ্ণ জগতের স্বামী।
শিক্ষাগুরু শ্রীরাধিকা হন অন্তর্য্যামী।
চৈতন্যরূপ দেখাইয়া শিক্ষাগুরু হয়।
সেইরূপ জীবের সাক্ষাৎ নাহি হয়।।
দীক্ষাগুরু রাধাকৃষ্ণ জানিও অন্তরে।
তাহার স্বরূপ মনে জানিও দোঁহারে।।
দুই গুরু এক বস্তু চমৎকার রূপ।
সেই রূপে সাধু ভক্ত পাবে রসকূপ।।
সাধু সঙ্গ বিনে কেহ বুঝিতে নারিবে।
শিক্ষামন্ত্র গ্রহণেই সকল বুঝিবে।।
শিক্ষাগুরু হতে পারে রূপ দরশন।
দীক্ষাগুরু হৈতে পাবে নিজ উপাসন।।
চর্ম্মচক্ষু গুরুবস্তু না পায় দর্শন।
দিব্যচক্ষু জন্মিলেই দেখিবে তখন।।
দীক্ষাগুরু শিক্ষাগুরু ভজ নিষ্ঠা করি।
গুরু তুষ্টে কৃষ্ণ তুষ্ট হইবে তোমারি।।
……………………………………..
তত্ত্বরসামৃত জ্ঞানমঞ্জরী
-শ্রীশ্রী চরণ দাস