দীনবন্ধু গোসাইয়ের পান্ডুলিপির কয়েকটি গান-
(তাল-একতালা)
যেন মম নেত্র কোনে হেরি নিশিীদিনে
বসাইয়া হৃদি উত্তম আসনে।
আমার কঠিন হৃদয় এসে দয়াময়,
আনন্দে নাচাও এ নিরানন্দ মনে।।
১। অন্তরালে লুকি, থাক নিরঞ্জন
হৃদপর্ন কুটিরে কর পদার্পণ।
শ্রদ্ধা সুচন্দন, করিব অর্পন
এসে বস এই, চিত্ত সিংহাসনে।।
২। ব্রহ্মান্ডের কর্ত্তা, ব্রহ্ম সনাতন,
কি দিব তোমারে নাহি ভক্তি ধন।
শক্তি দেও এবার, দু®কৃতি আমার
বিনাশিয়া ডাকতে পারি সর্বক্ষণে।।
৩। ডাকি হে তোমারে এস এই আসরে
তব রাতুল পদ পূঁজিব সাদরে।
দীবনবন্ধু কয়, হরি দয়া ময়,
দেখা দেও আমায় শান্তি সু-মিলনে।।
…………………………..
আসর গান
রাগিনী-পালা গানের সুরে
(তাল কাওয়ালী)
হস্তপদ বন্দী করে দরবারেতে নিয়া
মন তোরে মার খাওয়াব, গুরুর কাছে কৈয়া।
কেন চল যুতে যুতে, সদা ঐ কু পথে,
গুরু কর্ম করিতে, কষ্ট যায় তোর হইয়া।।
ভ্রাতা ছয়জন নিয়ে সুযুক্তি করি,
জোর জুলুমে ধরে নিব গুরুর কাছারি।
বিচার করি আইন মতে, দেয় যদি ঐ করণ পথে
হরি বলি ঘাটে পথে কাঁদবি আকুল হইয়া।।
জ্যেষ্ঠ গুরু ভ্রাতা হয়, অনুরাগ সন্ন্যাসী
জ্ঞান গুরুর ঐ বাম পার্শে, রয় সদা বসি।
সে অনুরাগ শাসন চোটে, দুর্ব্বুদ্ধি তোর যাবে ছুটে,
বিচ্ছেদ গুরু ভগ্নির হাতে, যাবি দগ্ধ হইয়া।।
বিবেক নামে গুরু ভ্রাতা, আছে একজন,
সুশৃঙ্খল বেঁধে তোরে, করিবে পীড়ন।
হিংসা নিন্দা করি নিধন, করবে তার মনের মতন।
গুরু পদে হবি পতন, আসবি না আর ফিরিয়া।।
ভেবে দীনবন্ধু বলে, ওমন বেপারী,
গোনার দিন সরিয়া যায়, বল হরি হরি।
সরল পথে হাঁটা চাই, নৈলে তব নিস্তার নাই।
তোরে চিনে নিশি দিনে, আছি ধৈর্য্য ধরিয়া।।
…………………………
রাগিনী বিরলা
(তাল খেমটা)
মন মাঝি বলি তোমারে
পারি ধরে যেয়ো পারে অতি হুইসারে।
এবার সাবধানে ধরিও পারি, মৈরনা ঘোলায় পরে।।
১। একেত বিপ্লব ঝটিকা আঁধার শর্বরী
অকুল ঘোর তরঙ্গ বহে দুরন্ত পাড়ি।
যেয়ো সুযোগ চিনে, নাম স্মরণে, সু-সন্ধানে হাইল ধরে।।
২। শ্রদ্ধা পালে ভাবের মাস্তুল দাড়া করিয়ে,
অনুরাগের বাদাম টেনে থেকে বসিয়ে।
যদি দয়া পবন উঠে তখন, নিঃসন্দেহে যাবি পারে।।
৩। আনন্দে তরঙ্গ তরী, ঢেউয়ে ঢেউয়ে বাও,
রসের তরী রসাং দিয়ে ঐ রসে চালাও।
যে জন রসিক সুজন গুরুর চরণ, সার করে সারাৎ সারে।।
৪। মধ্য রাতে তরী নিয়ে হাইল চাপিয়ে রও,
মন প্রাণ সমর্পিয়ে, গুরুর পদে ধ্যেও।
তবে পারে যাবি রূপের ছবি দেখবি দীনা সাদরে।।
………………………………..
রাগিনী-লম্পট