(তাল- ভোগারতি)
দেখ রে ভকত লোকে, মনের পুলকে,
ভোজন মন্দিরে হরি যশোমন্তের নন্দন
কাঞ্চন আসনে বসে রেশম বরণ রে।
কর্পূরবাসিত বারি, পূর্ণিত সুবর্ণ ঝারি,
তাহে প্রভু হরিচন্দ্র করলেন আচমন।
দিল স্বর্ণথালে শান্তি দেবী, শালান্ন ব্যঞ্জন রে
শাক সুক্তা ডাল বড়ি, ভাজা টক চড়চড়ি,
দধি দুগ্ধ ঘৃত মধু খাদ্য অগণন।
মাতা অন্নপূর্ণা দিল রাঁধি, করিলেন ভোজন রে।
শঙ্খ বাজে ঘণ্টা বাজে, মধুর মৃদঙ্গ বাজে,
মন্দিরে মাদল বাজে জুড়াল শ্রবণ।
করে রামাগণে বামাস্বরে মঙ্গলাচরণ রে।
ভোজন করিয়ে অন্ত, উঠিলেন হরিচন্দ্র,
সুবর্ণ খড়ুকায় করে দন্তের খালন
সুবাসিত বারি দিয়ে করিলেন আচমন রে।
ভোজনান্তে শয্যাপরে, বসিলেন হর্ষান্তরে,
শান্তিমাতা করিতেছে চরণ সেবন।
করে রামাগণে প্রেম ভরে চামর ব্যঞ্জন রে
দশরথ মৃত্যুঞ্জয় ভোজন আরতি গায়,
করজোড়ে স্তুতি করে ভক্ত হীরামন
ভক্ত বিশ্বনাথ পাতে হাত, প্রসাদ কারণ রে।
গোলক পুলক চিত্তে প্রসাদ পাত্র লয়ে মাথে,
আনন্দে করতেছে কত নর্তন কীর্তন।
বলে আনন্দ বাজারে, প্রসাদ নিবি কোন জন রে।
ব্রহ্মা বিষ্ণু পুরন্দরে, যে প্রসাদ বাঞ্ছা করে,
কে আনিল ওড়াকান্দি জীবের কারণ।
তোরা জয় হরিবল গৌর হরিবল, পলাবে শমন রে।
কাঙ্গাল সেবা লও হে ঠাকুর, কাঙ্গালের ঠাকুর তুমি।
ভিক্ষা করে এনেছিরে, বিদুরের খুদ খেয়েছিলে।
সে হতে অধম আমি, তুমি দয়ালের শিরোমণি।
………………………………………………………………
শ্রীমতিলাল সরকার