দেহ সকলের সার দেখহ বিচারি।
যেখানে যে দেবমূর্ত্তি কহিব নির্দ্ধারি।।
আধ্যাত্মিক বৈষ্ণবের কার্য্য এ সকল।
সাধিলে হইবে সিদ্ধি নাশি অমঙ্গল।।
ললাটে কেশব যথা করেন বসতি।
বামেতে লক্ষ্মীদেবী দক্ষিণে সরস্বতী।।
শুদ্ধ চিন্তা, শুদ্ধ কর্ম ভক্তি অপরূপ।
কণ্ঠযোগে শ্রীগোবিন্দ ওঁকার স্বরূপ।
চতুর্ভুজ মাধবেন্দ্র বক্ষ:স্থলে স্থিতি।
শঙ্খ চক্র গদা পদ্ম বামেতে প্রকৃতি।।
নাভিমূলে নারায়ণ করিবেক ধ্যান।
তবেই ভাবুকগণ পাইবে কল্যাণ।।
দক্ষিণ কক্ষেতে বিষ্ণু কহি শুন আর।
বাহুতে মধুসূদন সহ শ্রীরাধার।।
ত্রিবিক্রম কন্দমূলে হন বিরাজিত।
বামবক্ষে শ্রীবামন দেব অধিষ্ঠিত।।
শ্রীধর বাম বাহুতে স্ত্রীসহ বিরাজে।
হৃষিকেশ কন্দমূলে আছে যোগী সাজে।।
পৃষ্ঠদেশে পদ্মনাভ কহিনু বিধান।
কটিদেশে দামোদর শুন মতিমান।।
দ্বাদশ দেবতা স্থান দেহে নিরূপণ।
এই সব দেবমূর্ত্তি করিয়া স্মরণ।।
করিবে তিলক মুদ্রা বৈষ্ণব সকল।
না জানিলে ধর্ম্মকর্ম্ম সকলি বিফল।।
অত:পর কহি দেহতত্ত্বের বিচার।
দেহমধ্যে বৃন্দাবন সর্বসিদ্ধি সার।।
বাহ্যেতে চৌরাশী ক্রোশ শ্রীবৃন্দাবন হয়।
এই দেহ মধ্যে জেনো রয়েছে নির্ণয়।
ব্রাহ্মাণ্ডেতে যাহা আছে ভাণ্ডে তাহা পাই।
গুরুকৃপা হলে তাহা জাবিবে সবাই।।
এইরূপে দেহতত্ত্ব শাস্ত্রের নির্ণয়।
মনোযোগে সেই ত কর পরিচয়।।
শ্রীচরণ দাসে কয় শুন মোর বাণী।
গুরুপাশে সেই তত্ত্ব সবে লও জানি।
……………………………………..
তত্ত্বরসামৃত জ্ঞানমঞ্জরী
-শ্রীশ্রী চরণ দাস