(তাল – ঠুংরী)
দেহ লঙ্কার শঙ্কা ঘুচাও দয়াময়।
দুর্ম্মতি দুষ্ট দশানন, বাঁচি না তার যন্ত্রনায়।।
শান্তি সীতে অন্বেষণে, পাঠাও দাস্য হনুমানে;
গিয়ে মুক্তি আম্র বনে; খেয়ে করুকচূর্ণ তায়,
প্রেমের আগুন জ্বালাইয়া, মায়া মন্দির পোড়াইয়া, করুক লঙ্কা ভষ্মময়।।
আমার কামরূপ সাগর বন্ধন করি, লঙ্কায় যাও রাম ধনুকধারী,
সাঙ্গোপাঙ্গ সঙ্গে করি, এস হরি রসময়।
সে অলস পাপী কুন্তকর্ণ, স্বহস্তে তায় কর চূর্ন; যার ভারে তাপিত হৃদয়।।
ব্রহ্ম জ্ঞান ব্রহ্মবাণে, দুর্ম্মতিরূপ দশাননে;
বিনাশ কর জানে প্রাণে, তবে অঙ্গ শীতল হয়।
সত্যরূপ লক্ষ্মণে পাঠাও, অজ্ঞান ইন্দ্রজিতে হটাও, সবংশেতে করুক ক্ষয়।।
মাধূর্য্যরূপ বিভীষণে, বসাও হৃদি সিংহাসনে,
এ বাসনা রাত্র দিনে, তবে বাঞ্ছা পূর্ণ হয়।
সে যে চরিত্ররূপে মন্দোদরী, কর তারে পাটেশ্বরী, বসুক বিভীষণের বাঁয়।
তারকচাঁদ কয় সন্দ কিরে, যে যেমন বাসনা করে,
বাঞ্ছা পূর্ণ করে তারে, হরিচাঁদ মোর দয়াময়।
মহানন্দের চরণ তরী, অশ্বিনী তাই সম্বল করি, ঘুচাও ভব পারের ভয়।।