(রাগিণী ভৈরবী-তাল খয়রা)
দোল্ দোলা দোল্ পুতুল খোকা।
মায়ামঞ্চে দোল খাইয়ে, কি সুখ পেয়ে আছিস বোকা।।
কামনার দুই কাছি দিয়ে, আশাবৃক্ষে দোল টাঙ্গাইয়ে,
দোল্ দিতেছে একটি মেয়ে, দেখলাম চেয়ে ভঙ্গিবাকা।।
মেয়ে নয় সে মায়াপাখি, ফাঁকি দেয় তার ছদ্ম আঁখি,
পুতুল খেলায় মত্ত সখি, দুই ধারে দুই আছে পাখা।।
নিমিষে ব্রহ্মাণ্ড ঘূরে, দোল খেলায় আর হেসে মরে,
ফাঁদ পেতে চাঁদ রাখে ধরে, ভেল্কি করে দেয় ধোকা।।
তাঁর দোলেতে সবাই বসে, কেউ বা কাঁদে কেউ বা হাসে,
অমনি মেয়ে সর্ব্বনেশে দশকুশীতে দেয় টুকা।।
সে তালে উঠিয়া ফাল, ঠিক থাকে না কালাকাল,
লুটে নেয় সব মালামাল, যার কপালে যা লেখা।।
দোলনি খেয়ে মাথা ঘুরে, মনোমোহন গেছে পড়ে,
বন্ধু জনায় চায় না ফিরে, কান্দছে বসে সে একা।।
……………………………
আরো পড়ুন: মহর্ষি মনোমোহন ও মলয়া সঙ্গীত