ভবঘুরেকথা

(তাল-একতালা)
দয়াময় সাধন ভজন জানব কত, সাধন ভজন জানব কত
হলেম না কাজের কাজী কোন কাজেই, সব দেখি ভোজ বাজীর মত।

মিছে সব শাস্ত্র জানা, আসল পথ ঠিক হল না,
যে জন যার উপাসনা, সেই বলে তার মত।
শুনি, নানা মুনি শাস্ত্র বকে, বনপর্ব ভারত থেকে,
কঃ প্রস্থঃ প্রশ্ন বকে, ধর্ম বকে ধর্মসুত।

শিব ভজে শৈব যারা, শাক্ত কয় কালী তারা,
সূর্য কয় সৌর যারা, গণেশ কয় গাণপত্য।
জপে কৃষ্ণ মন্ত্র জোলা নকিম, তোর কৃষ্ণ বীজ নামাজের করিম,
শক্তি বীজ করিম রহিম, অসীম মতের মূল এক পথ।

নাস্তিকে কয় নিরাকার, ধর্ম কহ ঠিক মানি কার,
মূল ব্রহ্ম কে কার কে কার, যে যার যে যার আত্ম।
তোমায় খৃষ্টে বলে কই যীশুজী, বৌদ্ধ বলে বৌদ্ধ ভজি,
তোরে কয় বদর গাজী, মাল্লা মাঝি নেয়ে যত।

এক ব্রহ্ম নয় অভিন্ন, ভিন্ন ভেদ ভক্তের জন্য,
শ্যামা শ্যাম শিব অভিন্ন, গণেশ আদিত্য।
তোমায় সাধন করে যে সাধকে, যে ভাবে যে তোমায় ডাকে,
সেই ভাবে দয়া তাকে, হও দেখি তার বশীভূত।

হীরামনের মন ভরা, গোলকচাঁদের মনহরা,
মহানন্দ কয় আমরা, ঐ রূপের আশ্রিত।
কিসের পঞ্চ তত্ত্ব পঞ্চ ব্রহ্ম, তুই দয়াল আমার আব্রহ্ম,
তারক তার পায়না মর্ম, হয় না রূপের অনুগত।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!