(তাল – একতাল)
ধন্যরে যুগ পুষ্পন্ত কলিকাল।
মানব দেহ ধরি দয়াল হরি হল যশোমন্ত দুলাল;
শ্রীধাম ওড়াকান্দি হরি, হল পরকাশ;
পাপ তাপ দুরে গেল, তিমির বিনাশ
ভকত চকোর যারা সুধাপানে মাতোয়ারা,
পেয়ে প্রেম সুধারস, জগৎ হইল বশ,
প্রেমানন্দে বাড়ায়ে উল্লাস (হায় গো)
পূরলরে মনের অভিলাষ, ফিরল’রে চাঁদের কপাল।।
অনর্পিত চরিং চিরাৎ, যে ধন বাকী ছিল,
এই না দয়াল অবতারে, সে ধন বিলাইল,
কেউ না বাকী রল, প্রেম সুধা সবে পেল;
যারে দেখে আপন কাছে, করে ধরে প্রেম যাচে;
এমন দয়াল আর কি ভবে আছে (হায় গো)
জীবের কর্ম বন্ধ গেল ঘুচে, এলরে পরম দয়াল।।
নাম সিন্ধু করি মন্থন, হরি গুণ মণি,
উঠাইল প্রেম সুধা সুরস নবনী,
লয়ে সব ভক্তগণ করে প্রেম বিতরণ,
ব্রহ্মার বাঞ্চিত ধন, পেয়ে নাচে সর্ব্বজন,
অনুদিন বাড়ে অনুরাগ (হায় গো)
প্রেমে তনু ডগমগ হলরে মত্ত মাতাল।।
নদীয়ার চন্দ্র হরি, নদীয়া ছাড়িয়ে;
পুনরায় হল উদয়, ভক্তগণ লয়ে;
ভক্ত গণ লয়ে সাথে, কলুষ নাশিতে;
নব রসের গোরা, প্রেম রসে মাতোয়ারা,
দুনয়নে বনে প্রেমধারা (হায় গো)
ও সেই ব্রজ গোপীর মনোচোরা, এলরে সেই নন্দদুলাল।।
হরি প্রেমের আমার তারক মহানন্দ;
অকাতরে বিলাইতেছে, হরি প্রেমানন্দ;
উদিত হরিচন্দ্র, ঘুচিল তমঃসন্দ;
প্রেমানন্দ বাড়িল, নিরানন্দ ছাড়িল,
প্রেমানন্দে ধুলায় গড়ি যায় (হায় গো)
হরি প্রেমধন পেল সবায়, পেলনা অশ্বিনী কাঙ্গাল।।