নকল জায়গায় ঘর বাঁধিয়া
করছো মাতামাতি ও মন সাখিরে
দিন ফুরাইলে নিভবে ঘরের বাতি।।
সখি – রে
আদম হাওয়া বেহেস্তে
আছিলো দুইজন
ওয়াদা ভঙ্গে রস রঙ্গে
মাতিল যখন
তিনশ তের নবী আইলো
দুনিয়ার ভিতরে
আরো কত পয়গাম্বর
লাখের ও উপরে
আইলো কত গেলো কত
সুজন আর কুজন
কবে আইলো কবে গেলো
নাইরে নিরূপন
যার যেদিন হাতে পরবে
বিশ্ব কর্মার চিঠি
সেদিন ঘর ছাড়িয়া যাইতে হবে
সকাল কিংবা রাতি
দিন ফুরাইলে নিভবে ঘরের বাতি।।
সখি – রে
যেজন দিল দালান কোঠা
পাকা বাড়ি দিয়া
তারে কেন ভুইলা রইলি
কামিনির কোল পাইয়া
কোথায় ছিলি কেন আইলি
কি করিতে কাম
বেলা গেল সন্ধ্যা হল
লইলি না তার নাম
স্ত্রী পুত্র কন্যা আদি
পাইয়া তোমার কোলে
ডাক ঢোল বাজাইলি কত
রঙ্গিলা পাল তুলে
রঙ্গের নাও রঙ্গের বৈঠা
রঙ্গের ছাইয়া পাতি
দিন ফুরাইলে নিভবে ঘরের বাতি।।
সখি – রে
চক্ষু কর্ন নাসা বাক
ডুববে নয়ন তারা
হাত থাকিবে পাও থাকিবে বন্ধ নড়াচড়া
যম আসিয়া খাড়া হবে
মাত্র দুইদিন বাকি
দেহটাকে ফাঁকি দিয়া
উইড়া যাবে পাখি
গন্য মান্য সৈন্য যত
সবই রসাতল
হয়ত তুমি একা ছিলা
নয় করেছো দল
সকল ফিকির হারাইবা
সতী আর অসতী
মাতাল রাজ্জাকে কয় ডাক পড়েছে
কোন জায়গায় কার গতি
দিন ফুরাইলে নিভবে ঘরের বাতি।।