নকসি কাঁথার মাঠেরে সাজুর ব্যথায় আজো কাঁদে
রূপাই মিয়ার বাঁশেরবাঁশি।
তাঁদের আশার বাসা ভেঙে গেছে রে
তবু যায় নি ভালোবাসাবাসি।।
কতো আশা বুকে নিয়ে বেঁধেছিলো ঘর
কতো সুখে মিশেছিলো মিলনমঞ্চপর
হঠাৎ আসিয়া এক বৈশাখী ঝড় রে
সে ঘর কোথা গেলো ভাসি।।
সাজুর কবরের এক পাশে নকসি কাঁথা গায়
রূপাই মিয়া শুয়ে আছে মরণের শয্যায়;
তারা আছে চির নীরবতায় রে
তাদের দুইটি হিয়া পাশাপাশি।।
অকরুণ দারুণ বিধি বিচার তোর কেমন
তোর বুঝি ভালোবাসার কেউ নাহি রে এমন;
তাই তে বুঝিস না তুই বিরহীর মন রে
হারে কেমন তাদের কান্নাহাসি।।
পল্লীকবি জসীমউদ্দীন বেদনার ছায়ায়
নকসিকাঁথা লিখেছে তার মনেরি মায়ায়;
ভাবুক কবিগণ আনে কল্পনায় রে
যতো সত্য লোকের তত্ত্বরাশি।।
নকসি কাথাঁর মাঠে লোকে আজো শুনতে পায়
সাজুর ব্যথার রূপাইমিয়া বাঁশরি বাজায়;
পাগল বিজয় বলে, পরানে চায় রে
আমি একবার গিয়ে শুনে আসি।।