প্রণাম
নমি পদে কবি গুরু শ্রী তারক চন্দ্র।
যাঁর শিরে সদা রাজে প্রভু হরিশ্চন্দ্র।।
গুরুচাঁদ মধ্যে হরিচাঁদে যে দেখিলা।
হরি – প্রেম – রসে ডুবি বিশ্ব মাতাইলা।।
অমর লেখনী যাঁর রচে লীলামৃত।
দন্তে তৃণ ধরি পদে করি দণ্ডবৎ।।
কৃপা করি কবি গুরু দেহ আশির্ব্বাদ।
পদ চিহ্ন হেরি যেন পুরে মনোসাধ।।
আমি ত অজ্ঞান গুরু! নাহিক সাধনা।
শ্রী গুরু – চরিত লিখি মনের বাসনা।।
তব কৃপা বিনে দেব সেই সাধ্য নাই।
কর কৃপা কৃপাময় কৃপা ভিক্ষা চাই।।
জ্ঞান বুদ্ধি বিদ্যা আজি কিছু মোর নাই।
দয়া হ’লে সেই বলে যদি কিছু পাই।।
নরদেহ যবে ছিলে পবিত্র মূরতি।
দরশনে বুঝি নাই এমনি দুর্ম্মতি।।
আজি দেহে নাই তুমি দয়াল ঠাকুর।
তব বাসে আসিয়াছি ভ্রমি বহুদূর।।
শূন্যগৃহে প্রতি ধুলিকণা আজি কহে।
দেহ নাই শুধু স্মৃতি এই গৃহে রহে।।
তোমার স্মরণে দেব বুকে বাজে ব্যথা।
ওগো প্রভু দয়া ক’রে কহিবে কি কথা?
কথা কও রসরাজ চাহ হাসিমুখে।
কাতর সন্তানে ডাকে দুঃখ নিয়া বুকে।।
তোমার দয়ার শুনি তুল্য দিতে নাই।
তব দয়া পাব হেন সাধ্য কোথা পাই?
মম গুরু শ্রী গোপাল সাধু শিরোমণি।
তব দয়া পেয়ে ধন্য ইহা আমি জানি।।
তোমার কৃপার পাত্র তাঁরে বাসো ভালো।
তাঁর গুণে কবি গুরু মোরে দেহ আলো।।
শ্রী গুরু-চরিত দেখি মহা সিন্ধু প্রায়।
উত্তরিতে সেই সিন্ধু সাধ্য মোর নয়।।
কৃপাতরী দয়া করি আজি মোরে দেহ।
পদানত দাস বলি মোরে তুমি লহ।।
হরি লীলামৃত গ্রন্থ যে ভাবে রচিলে।
শ্রী গুরু-চরিত লেখ বসি হৃদি-মূলে।।
কিবা বুঝি কিবা জানি, কিবা কহি ছাই।
বোঝা জানা কহা মোর কিছু ঠিক নাই।।
ভরসা কেবল মোর গোপালের দয়া।
সেই গুণে যদি প্রভু দেহ পদ ছায়া।।
আসিয়া তোমার বাসে তাই এই দিনে।
দীন মহানন্দ কান্দে পড়িয়া চরণে।।
ভরসা নাহিক আর তব দয়া বিনে।
কর দয়া রসরাজ নিজ – দয়া – গুণে।।
শ্রী রাম ভরত মিশ্রের মহাপ্রস্থান
বার’শ পঁচাশি সালে জ্যৈষ্ঠের প্রথমে।
শ্রী রাম ভরত এল ওড়াকান্দী ধামে।।