হরিচাঁদ বন্দনা
নম নম হরিচান্দ পতিত পাবন।
তব শ্রীচরণে মোর থাকে যেন মন।।
সাধনা না জানি প্রভু ভজন না জানি।
নিজ গুণে দাও তব চরণ দু’খানি।।
তুমি হরি গুণনিধি জগতের সার।
এ ভব সাগর হতে কর মোরে পার।।
তোমার গুণের সীমা বর্ণিতে কি পারি।
গুণের অতীত তুমি দয়াল শ্রীহরি।।
তোমার ইশারাতে এ জগত চলে।
তোমার মায়াতে প্রভু এ জগত ভোলে।।
সত্য যুগে ছিলে তুমি নাম রূপ ধরি।
ত্রেতা যুগে রাম রূপে জন্মিলেন হরি।।
দ্বাপর যুগেতে প্রভু কৃষ্ণ অবতার।
কলিতে গৌরাঙ্গ রূপে হইল প্রচার।।
তারপর ওড়াকান্দি হলে অবতার।
ঐ চরণে কোটি কোটি করি নমস্কার।।
নম নম শান্তি মাতা জগত জননী।
হরিচান্দ প্রাণ প্রিয়া লোচন নন্দিনী।।
চরণ যুগলে মাগো করি নিবেদন।
দয়া করে অধমেরে দাও শ্রীচরণ।।
নম নম গুরুচাঁদ শ্রীহরি নন্দন।
করজোড়ে বন্দি তব যুগল চরণ।।
হরিনাম প্রচারিতে হইলে প্রকাশ।
অধমেরে করপ্রভু শ্রীচরণে দাস।।
নমঃ নমঃ যশমন্ত ঠাকুরের পিতা।
নমঃ নমঃ অন্নপূন্না ঠাকুরের মাতা।।
নমঃ নমঃ কৃষ্ণদাস প্রভু জ্যেষ্ঠ ভাই।
চরণেতে কোটি কোটি প্রণাম জানাই।।
নমঃ শ্রী বৈষ্ণব দাস অংশ অবতার।
নমঃ নমঃ গৌরি দাস সহিমা অপার।।
নমঃ শ্রী স্বরূপ দাস সবার একনিষ্ঠ।
ঠাকুর চরণে যার ভক্তি একনিষ্ঠ।।
নমঃ নমঃ শ্রীসুধন্য ধীর অবতার।
নমঃ নমঃ শ্রীপতিচান্দ তাহার কোঙর।।
নমঃ শ্রী প্রমথচান্দ তুমি গুণমণি।
নমঃ নমঃ বীণাপাণি মাতা ঠাকুরানী।।
নমঃ নমঃ মঞ্জুলীকা মাতা ঠাকুরাণী।
করপুটে বন্দি আমি চরণ দু’খানি।।
নমঃ নমঃ অংশু পতি নমঃ শচিপতি।
নম শ্রীহিমাংশু পতি পদে করি স্তুতি।।
ঠাকুর হইতে এল ঠাকুরের অংশ।
করজোড়ে বন্দি আমি ঠাকুরর বংশ।।
অধম বিনোদ বলে দিতে নারি সীমা।
কৃপা করে অধমেরে করে দিও ক্ষমা।।