প্রণতি
শ্রী শ্রী গুরুচাঁদের শ্রীপাদ সরোজে
নামো নমো নমঃ পুরুষ উত্তম
শ্রী হরি-আত্মজ গুরু।
দীন হীন জন উদ্ধার কারণ
করুণ শরণ-তরু।।
জ্ঞান কান্তি যশঃ ঐশ্বর্য বীরজ
বৈরাগ্য ত্রিশূল ধারী।
কুরু কৃপানাথ সর্ব্বজীব তাতঃ
অজ্ঞান-ত্রিপুর অরি।।
বাহিরে ঐশ্বর্য অন্তরে মাধুর্য
কৃপাময় কৃপা বারি।
নিজে কর্ণধার সেজেছ এবার
ডুবু নমঃশূদ্র তরী।।
পরপদ-পিষ্ট অতিব নিকৃষ্ট
আছিল নমস্য জাতি।
তুলি’ নিলে ভার প্রসারি শ্রীকর
প্রকাশি’ করুণা ভাতি।।
প্রেমের ঠাকুর অনাথ আতুর
তাপিতে তারিলে নাথ।
কৃপা ধারা ঢেলে ব্যথা মুছে দিলে
করিয়া করুণা পাত।।
শান্তি প্রেম মাখা তোমার পতাকা
আনন্দ মলয়ে দোলে।
নিজে কৃপা করি শ্রীকর প্রসারি
এ জাতি করেছ কোলে।।
রাজ-রাজ রাজা রাজার দুয়ারে
জাতি নিয়ে চাও ভিক্ষা।
কাঙ্গালের সাথে বুকে গলে হাতে
দিয়েছ প্রেমের দীক্ষা।।
ওড়াকান্দী গ্রাম তোমার শ্রী ধাম
“পীঠ” বলি জাতি মানে।
প্রেম মেলা মেলে বাসন্তী হিল্লোল
শ্রী মহাবারুণী দিনে।।
কাশী কাঞ্চী ক্ষেত্র মিলি সব তীর্থ
তোমার তীরথ সেরা।
তব তীর্থ বাসে শান্তি প্রেমে ভাষে
সকল হারান যারা।।
রাজ রাজেশ্বর সুঠাম সুন্দর
বাদশা ফকির বেশে।
গলা’লে কঠিন হে চির নবীন
পাহাড় মরুর দেশে।।
যুগে যুগে তুমি ভূভার হরিতে
দীন হীনে বাস ভাল।
কৃপা আস্তারণ করি বিস্তারণ
আড়ালে থাকিয়া খেল।।
তব গুণ গাঁথা কে বর্নিবে তা
অন্তত অসীম লীলে।
ক্ষমা করো নাথ অপরাধ যত
শ্রীপাদ সরোজ দলে।।
কাঙ্গাল আমরা সম্বল বিহীন
ভক্তি শক্তি কিছু নাই।
জনমে জনমে তোমার ধরমে
তব গুণ যেন গাই।।
জানিনা তোমায় বুঝিনা তোমায়
চিনিনা তোমায় প্রভু।
তব ইচ্ছা যাহা পূর্ণ হোক তাহা
যথা শান্তি কর বিভু।।