(তাল-গড়খেমটা)
নাম লয়ে নামল এবার নিতাই চৈতন্য।
পাষণ্ড কলির জীব করিতে ধন্য।
হরি বলে হেলে দুলে, বাহু তুলে নাচে গায়,
এসে আপনি ঈশান, নামের নিশান উড়াচ্ছে সব পাড়াগাঁয়।
কেহ সংকীর্তন গায়, কেহ বা তার তাল যোগায়,
করে ভক্তবৃন্দ গায় গায়, কোলাকুলি গায় গায়,
এবারে পাবে সব হতভাগায়, হয়েছে অবতীর্ণ যে জন্য।
বাজে কংস্য কাঁসি, শঙ্খ বাঁশী মৃদঙ্গ, খোল করতাল,
বাজে নাগারা টিকারা, কেহ করে করে করে তাল,
ধরে হরিনামের তাল, কেউ ধরেছে ধরাতল,
করে লম্ফঝম্ফ তাল বেতাল, ধরাতল যায় রসাতল,
দুঃখী তাপীর পরাণ শীতল, যত দিন দীন দৈন্য প্রেম শূন্য।
এল গোলক ত্যজে কাঙ্গাল, সেজে পীতবাস পরিহরি,
জীবের পারের পন্থা ছেড়া কান্থা, ডোর কৌপীন শ্রীহরি,
কেঁদে বলে শ্রীহরি, কে নিল মোর শ্রীহরি,
সদা উঠে শ্রীহরি, প্রেম অষ্ট প্রহর-ই,
ভজ সঙ্গে বিহারী, বলেছে হরি হরি,
বলেছিল নয়ন প্রহরী, কে হরিল সুবর্ণ সুবর্ণ।
মিশে হাড়ি মুচি শৌচাশুচি মোটে নাই জাতির বিচার,
ত্যজে দেশাচার জাতি কুলাচার, সবে করেছে ব্রজাচার,
করে তুচ্ছ বেদাচার, কেউ করে তা ভেদাচার,
করে ব্রজের সদাচার, বেদাচার ই কদাচার,
নামে মুগ্ধ হল চরাচর, দুঃখে কাঁদ শমন চর,
হল ভব সাগর বালিচর, কাঁপে পাপী জলচর,
দেখে হরিনাম প্রচার, মুগ্ধ হয় খেচর ভূচর,
হরিচাঁদের অনুচর, হয়েছে নানা বর্ণ একান্ন।
এবার রুদ্র অংশে অবতংশে হল আপনি নাথ,
লয়ে ভক্তবৃন্দ মহানন্দ এল আপনি গোলকনাথ,
সঙ্গে গুরু জগন্নাথ অক্ষয় প্রেম ধন বিলায় নাথ,
চিনিল না হরে অনাথ, দুরাচার গণ্য জঘন্য।।
………………………………………………………….
হরিবর সরকার