গুঞ্জা চ তুলসী ধাত্রী পট্টং শ্যামাঞ্জনী তথা
এতা পঞ্চবিধা মালা ধার্য্য সর্ব্বৈরভীষ্টদা।।
শ্বেতগুঞ্জ আমলকী আর পট্টডোরি।
তুলসী ও শ্যামাঞ্জরা সর্ব্বাভীষ্টকারী।
এই পঞ্চমালা ধারণ পূজার কামনে।
পটটডোরি পাইবেক পুরী বৃন্দাবনে।।
শ্যামকুন্ড মাটি দিয়া নিম্মার্ণ করিলে।
শ্যামাঞ্জনী নাম তার সকলেই বলে।।
তত: কৃষ্ণপিতা মালা ধারয়েৎ তুলসীদলে।
পদ্মাভেস্তুলসী ক্লীষ্ঠৈ: ফলে ধাত্র্যাশ্চনির্ম্মিতা।।
(তথাহি বিষ্ণুধর্ম্মোত্তরে)
তুলসী পত্রেতে কিংবা তুলসী কাষ্ঠেতে।
আমলকী ফলে আর পদ্মের বীজেতে।।
মালা নির্ম্মইয়া অপি ভগবচ্চরণ।
সেই মাল্য গলদেশে করিবে ধারণ।
ধারয়েত্তুলসী কাষ্ঠ ভূষণাদি চ বৈষ্ণব:।
মস্তকে কর্ণযোর্ব্বাহেবা যথা রুচি।
(তথাহি বিষ্ণুধর্ম্মোত্তরে)
শিরোপরে কর্ণদ্বয় বাহুমূলে আর।
হস্তদ্বয়ে তুলসীকাষ্ঠ, বৈষ্ণব জনার।।
বৈষ্ণব বলিতে বুঝি বিষ্ণুভক্ত জন।
সংসারী বিবেকী হোক বৈষ্ণব গণন।।
তুলসীদলমালোন বিষ্ণুপূজা করোতি য:।
তস্যা: পত্রেহশ্বমে ধানং দশধা লভতে ফলম।।
(তথাহি গরুড় পুরাণে)
তুলসীপত্রের মালায় পুজে নারায়ণে।
প্রতি পত্রে দশ অশ্বমেধ ফল আনে।।
তুলসী কাষ্ঠমালাভিভূষিতা: পুণ্যমাচরেৎ।
পিতৃণাং দেবতানাঞ্চ ত্রিশ কোটিগণ: কালো।।
(তথাহি স্কন্দপুরাণে)
তুলসী কাষ্ঠের মাল্যে হইয়া শোভন।
যে মানব পুণ্যকর্ম্ম করে অনুষ্ঠান।।
কিংবা পিতৃ পিতামহ শ্রাদ্ধ, দেবতা পূজয়।
কোটিগুণ ফল তার হইবে নিশ্চয়।।