১.
ললাটে যুগল মূর্তি নাসায় গোবিন্দ। গোপীনাথ কণ্ঠস্থানে করয়ে আনন্দ।। মদনগোপাল বাহুদ্বয়ে বক্ষে গিরিধারী। পঞ্চ ফোঁটা পঞ্চস্থানে দিবে সারি সারি।। এইমত পঞ্চ ফোঁটা তিলক রচিবে। হস্ত ধৌত তিলক সব মস্তকে মুছিবে।
২.
গোলকেশ্বর ললাটেতে করিয়াছে স্থিতি। আহ্বাদিনী কণ্ঠদেশে করিছে বসতি। বলরাম দক্ষিণ বাহুতে অধিষ্ঠিত। বাম বাহুতে বাসুদেব আছে বিরাজিত।। শ্রীমঞ্জরী হৃদে রহে এই তত্ত্ব জানি। রচিবেক পঞ্চ ফোঁটা সাধু বৈষ্ণব জ্ঞানী।। গুরুতত্ত্ব পাঠে পঞ্চ ফোঁটায় বর্ণন। তাহা দেখি এই গ্রন্থে করিনু রচন।।
৩.
শিব বলে মহেশ্বরী করহ শ্রবণ। পঞ্চ তিলকের তত্ত্ব করিব বর্ণন। ললাটে যুগল রেখা করিবে বচন। ভ্রূ মূর্দ্ধস্থানে করিবে স্থাপন।। ভ্রূ নিম্নে নাসা মধ্যে স্থাপন করিবে। মধ্যস্থানে বিন্দু স্থাপি সিদ্ধি বাদ দিবে।। নাসিকার ত্রয়োভাগে করিবে স্থঅপন। তদুপরি করিবেক তিলক রচন।। উভয় তিলক চিহ্ন সংযোগ করিবে। ললাটে নাসিকা মধ্যে তিলক হইবে।। এই মত এক ফোঁটা হইবে স্থাপন। আর চার ফোঁটা তত্ত্ব করহ শ্রবণ।। কণ্ঠস্থলে এক ফোঁটা, বক্ষ:স্থলে এক। দুই বাহুতে দুই ফোঁটা তিলক দিবেক।। এইমত পঞ্চ ফোঁটা তিলক নির্ণয়। রুদ্রজামাল মতে কহি সুনিশ্চিত।
৪.
হর প্রতি প্রিয়ভাসে কহেন পার্ব্বতী। তিলকের তত্ত্বকথা কহ পশুপতি।। হর বলে প্রাণেশ্বরী তিলক রচন। একমনে শুন প্রিয়া আমার বচন।। ললাটে যুগলরূপ ঊর্দ্ধরেখা শোভন। গলদেশে গোলাকার পদ্মকার ভূষণ। বক্ষদেশে বিন্দুরেখা। ঝলমল কিরণ। দুই বাহুতে যুগলরেখা পঞ্চ তিলক ধারণ।। শিবপূরাণের মত করিলাম বচন। (পঞ্চ) তিলকের তত্ত্ব কহ গৌরীর বচন।।
পঞ্চ ফোঁটা তিলকতত্ত্ব
ললাটে উপরে কৃষ্ণ ওঁ কাতরে স্থিতি।। কণ্ঠে হ্মাদিনী রাধা বসিয়াছে নিতি।। দক্ষিণ বাহুতে বলরাম অধিষ্ঠান। বাম বাহুতে শ্রীকৃষ্ণের করিবেক ধ্যান।। বক্ষ:স্থলে শ্রীরূপমঞ্জরী স্থিতি জান। পঞ্চ ফোঁটা এই তত্ত্বে দিবে সাধুগণ।। ব্রহ্মবৈবর্ত্তে নারদ শিক্ষায় আছয়ে লিখন।। সেইমত এই গ্রন্থে করিনু বর্ণন।