ভবঘুরেকথা
মতুয়া সংগীত

ভক্ত আনন্দ সরকারের উপাখ্যান।
পয়ার

পরগণে খড়রিয়া দুর্গাপুর গ্রাম।
ভকত আনন্দ নামে অতি গুণধাম।।
রামায়ণ গানে যেন দ্বিতীয় বাল্মিকি।
পরম বৈষ্ণব তত্ত্বজ্ঞানী সদা সুখী।।
নমঃশূদ্র কুলজাত খ্যাত সরকার।
প্রামাণিক মণ্ডল গাইন আখ্যা আর।।
কেহ কহে কীর্তনিয়া কেহ অধিকারী।
সর্বগুণী সর্বকার্যে সর্ব অধিকারী।।
কবিগানে বঙ্গদেশে যশ চরাচর।
রচক গায়ক হেন পিক কণ্ঠস্বর।।
ওঢ়াকাঁদি হরিচাঁদে জগন্নাথ মানে।
তেতুলের গোলা খায় ব্যাধির বিধানে।।
ওঢ়াকাঁদি প্রেম বন্যা উঠিল তুফান।
পঞ্চকাঁটা ভেঙ্গে চুরে ধায় প্রেমবান।।
ব্রাহ্মণ কায়স্থ শূদ্র বৈরাগী যাহারা।
কৌপীন ছিণ্ডে সব ভক্ত হ’ল তাহারা।।
হাতিখাদা গ্রামবাসী তিলক বণিক।
নারীসহ মাতোয়ারা পরম নৈষ্ঠিক।।
মল্লকাঁদি রামতনু শিরালী ছিলেন।
ওঢ়াকাঁদি গিয়ে পুত্র প্রাপ্ত হইলেন।।
মহাপ্রভু হরিচাঁদ দিয়াছিল বর।
প্রাচীন বয়সে দোঁহে পাইল কুমার।।
অপুত্রক আনন্দ অন্তরে দুঃখ পায়।
পুত্রের কামনা করি ওঢ়াকাঁদি যায়।।
পথে এক ম্লেচ্ছ বলে যেতেছ কোথায়।
আনন্দ বলিল যাব ওঢ়াকাঁদি গায়।।
ম্লেচ্ছ শুনে তুচ্ছ করে বলে গালি পাড়ি।
খেতে নাহি দেয় শালা যাও তার বাড়ী।
ওঢ়াকাঁদি গেলে ডেকে বলে ভগবান।
পথে লোকে শালা বলে তুই এলি কেন।।
তাহা শুনি আনন্দ লুটিয়া পড়ে পায়।
পয়ার প্রবন্ধে কবি তারক রচয়।।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!