পাগলরে ক্ষ্যাপারে তোর আপন ঘরে বেঁধেছে গোলমাল
এবার পরের হাতে গেছেরে তোর নিজের ঘরের মালামাল।
তোর বসত করা ঘরের মধ্যে ছয় জন ঘোরে তোর বিরুদ্ধে
একাকী তাহাদের যুদ্ধে পারবি না রে বেসামাল।।
দশ জন তোর বহিরদরজায়,
ছয় জন তোর ভিতরের কামরায়
বিষয়ের বিষ দাঁত কামড়ায় মোহের মহাকাল;
ওঝা আছে পরতন্ত্রে বিষ চলে তার চালান মন্ত্রে
ষড়রিপুর ষড়যন্ত্রে সব করে দিলো পয়মাল।।
বাহিরে বীরত্ব ভারি
ভিতরে তোর প্রবল অরি
তোরে দিয়ে নাকে দড়ি ঘুরায় চিরকাল;
বিষয়মদে হয়ে মত্ত জাগে না তোর আত্মতত্ত্ব
ভুলে গেলি পরমার্থ কেবল তোর স্বার্থের ঝামাল।।
টাকা পয়সা সিন্দুক ভরা
পার হতে তোর নাই এক কড়া
ঘঅটের মাঝি বড়ো কড়া দূরন্ত ভয়াল;
ধুলায় দিয়ে গড়াগড়ি কুড়ায়ে লও পারের কড়ি
শ্রীগুরুর চরণে পরি নিজেরে করো সামাল।।
অজানা এই সংসার পুরে
পথ না চিনে মরলাম ঘুরে
পরে গেছিস অনেক দূরে এলো সন্ধ্যাকাল;
মোহে মুগ্ধ মহীতলে দগ্ধ চিত্তে বিজয় বলে
বাস করলেম বাঁশ গাছের তলে ত্যাগ করে কৃষ্ণতমাল।।