পাগল কানাই বলে, ও মন রসনা,
গুরুর চরণ করো সাধনা-
জ্বালার ভয় রবে না-ভয় রবে না।
আপ্ততত্ত্ব পরমতত্ত্ব-গুরুজনে জানে অর্থ,
-অজ্ঞানে তা জানে না।
সেই গুরুর চরণ নিষ্ঠুর অতি
-তারে কেও চিনলো না।
চন্ডীদাস ও ধনজায় ঠাকুর রে
-কারে কেও চাড়তে পারল না
নবরসে নব কীর্তি-করতে পারলে আদত ভক্তি
নয়ন ভয়ে দেখতে পারবি চব্বিশ পরগনা।
আরও গুরুর নামে ডঙ্কা মারে
যাবি রে মন ভবপারে
যাবি রে মন রসনা;
সেই গুরুর চরণ করলে স্মরণ মরণ হবে না।
তাই পাগল কানাই বলে-
ও কোরবান, মরণের সঙ্গী হলে না।
এক মরা মরেছিল কবির জোলা,
ও তার আফসোছেতে পাগলা ভোলা
কান্দে লয়ে আচলা ঝোলা
-আরও হাড়ের মালা
সে যে শ্মশানে মশানে থাকে
সর্ব সঙ্গে ভস্ম মাখে,
সদায় থাকে গাছ তলা;
রূপ নিহারে বইসে সদায় বাজায় ভোম বোলা।
আরও অহল্যা পাষাণী ছিল,
সেই জানে মরণের জ্বালা।
:: গুরুতত্ত্ব