ভবঘুরেকথা

(তাল-গড়খেমটা)
পাগল হতে আর আমার বাকি আছে কি।
হয়েছি পাগল আর হব কি।
হরি বলে বাহু তুলে ডাক ছাড়ে অ’দে পাগল।

নি’মে নি’তে শিবে গদা, বাসর ঘরে করে গোল,
জুটে যত জাত পাগল, সবে বলে হরি বল,
বাজায় খোল আর মাদোল, ভাব পাগল আর প্রেম পাগল,
আমি পাগল হলেম তাই দেখি, ও সখী।

আমার মন হয়েছে হন্যা পাগল, বিষ্ণু তৈলে কি করে,
সে মানে না গ্রহণের বেড়ী, সাই দরদী যা করে,
যে করে সে করে, পাগলে পাগল করে,
ক্ষেপা পাগল কয় আমারে, ঘরে পরে করে কি, ও সখী।

সাইজি যেদিন রাইজি বলে, হাই ছেড়ে কড়া নিলে,
গোপীর ভজন রাগের করণ, ঠাহর পেলেম সেই কালে,
ন’দেবাসী সকলে পাগল হল এককালে,
পাগলে পাগল দল বেঁধেছে সদলে,
ঐ দলে এই দলে, সব দলে আমি থাকি, ও সখী।

উর্দ্ধরেতা গোপীর ভজন, পাগল হলেম তাই শুনে,
অটলবিহারী পাগল রসরাজ সিন্ধুপানে,
সোমরস অন্বেষণে পাগল গোপীর প্রেম ঋণে,
মরিনে বাঁচিনে কি করি তা বুঝিনি,
সেই পাগলের বিহনে, ঘরে র’তে পারিনে,
আমার কাজ কি লো কুলমানে,
আমার রাজ্য ধনে কার্য কি, ও সখী।

নিত্যধামে গোপীর প্রেমে, সহজ পাগল হরিচাঁদ,
সেই পাগলের জন্য হয়, উন্মত্ত পাগল গোলকচাঁদ,
কাঁদে মহানন্দ চাঁদ, কইরে আমার পাগল চাঁদ,
পাগলচাঁদ, ক্ষেপাচাঁদ, তারকচাঁদ তার জানে কি, বুঝে কি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!