তৎ কৃপৈব কেবলম্
প্রভুর দয়ার গুণে বলিহারি যাই।
কৃপা-গুণে শ্রীতারক সাজিল গোঁসাই।।
পিতৃ-ব্যবসায় তাঁর ছিল কবিগান।
মনে ইচ্ছা সেই পথে করিবে প্রয়াণ।।
তাহে বিধি বাদী হ’ল কন্ঠে নাহি সুর।
গান-ক্ষেত্রে গেল সবে করে দুর দুর।।
মনের বেদনা সাধু সহিবারে নারে।
মৃত্যুঞ্জয় পদে সব নিবেদন করে।।
গোস্বামী বলিল তারে “শুনহে তারক।
দয়াময় হরিচাঁদ বেদনা হারক।।
সেই পদে মনোব্যথা জানাও সত্বরে।
অবশ্য গুচিবে ব্যথা বলিনু তোমারে।।
আজ্ঞামতে সে তারক ওড়াকান্দী গেল।
মনের বেদনা সব প্রভুকে জানা’ল।।
প্রভু বলে “রে তারক কোন চিন্তা নাই।
আমি যাহা বলি বাপু! তুমি কর তাই।।
হাটে হাটে দেখে সবে দূর করে মোর।।”
একার্য্য করিলে তুমি ফলিবে সুফল।
গলিবে তোমার বাক্য পাষাণেও জল।।”
শ্রীনাথের বাণী শুনি তারক কান্দিল।
সাষ্টাঙ্গ প্রণমি তবে শ্রীপদ বন্দিল।।
প্রভু-আজ্ঞা মনে কার্য্য করিল সুধীর।
কন্ঠে সুর হ’ল তাঁর মধুর গম্ভীর।।
পরে যত গান কবে সেই মহা সাধু।
সবে বলে “শুনিলাম মধু হতে মধু।।
“তৎ কৃপৈর কেবলং” সর্ব্ব আশা সার।
কবি কহে হরি বিনে বন্ধু নাহি আর।।