পুত্র কন্যাদির জন্মগ্রহণ ও তাঁহাদিগের চরিত্র মাহাত্ম্য বর্ণন।
বন্দনা
জগৎ তারণ প্রভু শ্রী হরি ঠাকুর।
ওড়াকান্দী করে লীলা মধুর মধুর।।
যে আতুর দুঃখী জনে ইতিপূর্বে কেহ।
কোন দিনে কোন ভাবে করে নাই স্নেহ।।
সেই ব্যথিতের দুঃখে বড় দুঃখী হৈয়া।
হরিচাঁদ অবর্তীর্ণ সাঙ্গ পাঙ্গ লৈয়া।।
তেঁহ কার্যে তেঁহ পুত্র প্রভু গুরুচাঁদ।
পূর্ণ করি দীনজনে দিলা প্রেমাহ্লাদ।।
পবিত্র গৃহীর ধর্ম আপন জীবনে।
আপনি পালিলা প্রভু জীবের কল্যাণে।।
তেঁহ কার্য সহযোগে দেবকুল যত।
তেঁহ বংশে জন্ম নিল সাজি সুতাসুত।।
ধন্য শ্রী শশী ভূষণ বংশ শ্রেষ্ঠ যেই।
তস্য গুণে মুগ্ধ সদা আঁছিল সবাই।।
পিতৃ কার্যে তেঁহ চেষ্টা সবার অধিক।
উদার চরিত্র বান সত্যেতে নির্ভীক।।
জয় সুধন্য কুমার দ্বিতীয় নন্দন।
“বিনয়ের অবতার” মধুর বচন।।
তেঁহ হরি পদে সদা নয়ন রাখিলা।
হরিচাঁদ লীলাগীতি কতই লিখিলা।।
কন্দর্প মোহন কান্তি শ্রী উপেন্দ্র নাথ।
তেঁহ নিত্য রহে সদা জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা সাথ।।
বহু গুণী সুরেন্দ্রনাথের জয় জয়।
সমাজ উন্নতি লাগি চিন্তা সদা রয়।।
করুণা রূপিণী দেবী শ্রী করুণা ময়ী।
প্রভু কন্যা সতী ধন্যা পদে নত হই।।
গুরু গোপালের পদ মনে করি সার।
এদের পবিত্র লীলা করিব প্রচার।।