গোস্বামী দেবীচাঁদের মহাপ্রস্থান
বিধবার বিয়া হ’ল বিভিন্ন জেলায়।
প্রভু বলে “থাক দেবী! আর বেশীয় নয়।।
যা হল হয়েছে ভাল আর কার্য নাই।
উদ্দেশ্য সফল হ’ল আর নাহি চাই।।
“যথা আজ্ঞা” বলি দেবী গৃহেতে আসিল।
“চন্ডাল” মোক্ষণ হল সংবাদ শুনিল।।
আনন্দে নাচিয়া সাধু বলে “হরি বোল!
জন্ম জন্মান্তরে আজি কেটে গেল গোল।।
আহা রে! অজ্ঞান জাতি! চক্ষু না মেলিল।
দেখ এসে অনায়াসে কিবা ধন পেল।।
দেশে দেশে এই বার্তা করে পরচার।
দৈব ক্রমে দেহে তাঁর হল কালা জ্বর।।
জ্বর মাত্রে দেখা দিল গোস্বামী কহিল।
এস সবে মোর ঠাঁই সময় আসিল।।”
কেহ কান্দে কেহ কেহ সাহসের বাণী।
গোস্বামী বলেন “ওরে সব আমি জানি।।”
আমার যে যেতে হবে তাতে ভুল নাই।
পবিত্র চরিত্র রক্ষা করিও সবাই।।
ওড়াকান্দী যাতায়াত করিও সকলে।
প্রাণপণে করো যাহাগুরু চাঁদ বলে।।
গুরুচাঁদ জেন নহে কিছুতে মানুষ।
পতিত পাবন তিনি পরম পুরুষ।।
সেই পদে করো সবে আত্ম সমর্পণ।
নিজালয় এসে আমি করিব গমন।।”
এতেক বলিয়া সাধু মুদিল নয়ন।
‘হা’ গুরু, হা’ গুরু, বলোন্দে ভক্তগণ।।
শোকের পাথারে ফেলে দেবী চাঁদ গেল।
দেবী চাঁদ প্রীতে সবে হরি হরি বল।।