(রাগিণী গাড়া ভৈরবী-তাল মধ্যমান ঠেকা)
বীণা কি গাহিতে জানে গান।
বীনাপাণি বীণার তারে না ধরালে তান।
ভাব কিলো সই আপনি ফুটে, ঢেউয়ের চোটে উথলে উঠে।
না গেলে পর প্রাণ ছুটে, ধরা কি দেয় প্রাণ।।
বাজরে বাজরে বীনা, সুরতান লয় মূর্ছনা,
চতুরঙ্গ খেয়াল টপ্পা, করিয়ে সন্ধান।।
ঝঙ্কারিয়ে তব তার, জয়দেব তুলসী আর
তানসেন ব্রজবাউরা, সুরদাস জ্ঞান;
হৃদিপদ্ম ফুটাইয়ে, গিয়েছে মধু লুটিয়ে,
ভববন্ধন কাটীয়ে, যত অমর সন্তান।
সাধ্য ছাড়া সাধ লয়ে, আমিও এসেছি ধে’য়ে,
বীণাপাণি এ হৃদয়ে, হয়ে অধিষ্ঠান-
তোমার বীণা তুমি করে, লয়ে বাজাও দয়া করে,
মধুর মধু ঝঙ্কারে, মোহ করি প্রাণ।
নির্গুণ হইলে ছেলে, মা কি দেয় কোলহতে ফেলে,
মনোমোহন তাই বলে, সুর তাল মান-
যদিও না আছে বশে, মও হ’য়ে তবুও সে,
বীণার তার মেজে ঘ’সে আরম্ভিল গান।
চাপলে কি রয় মুখের হাসি, আপনি বাজে ভাবের বাঁশী,
প্রাণ উদাসী তাইতো আসি, মান অপমান-
মদ মাতাল মন মাতালে, ধরতে নারে কোন কালে,
ঢেউয়ের তালে তারা খেলে, ভাটী আর উজান।।
……………………………
আরো পড়ুন: মহর্ষি মনোমোহন ও মলয়া সঙ্গীত