যেইসব মুঢ়মতি মানবের গণ।
বৈষ্ণবগণের সদাই করয়ে নিন্দন।।
তাহারা জানিও পিতৃগণের সহিত।
রৌরব নরকে হয় নিশ্চয় পতিত।
বৈষ্ণবগণের যেইজন দেয় কষ্ট।
জন্মার্জ্জিত পূণ্যতার সব হয় নষ্ট।।
(তথাহি স্কন্দপুরাণে)
বৈষ্ণবেরে অপমান করে যেইজন।
তার প্রতি নাহি রহে নারায়ণ।।
বৈষ্ণবের বশ কৃষ্ণ সর্ব্বশাস্ত্রে কয়।
এইসব জানি ভজ বৈষ্ণব নিশ্চয়।।
প্রাতে উঠি করে যেবা বৈষ্ণব কীর্ত্তন।
শাস্ত্রে কহে কৃষ্ণতুল্য হয় সেইজন।।
(তথাহি দ্বারকা-মাহাত্মা)
বৈষ্ণবেরে দেখে যেবা আনন্দ অন্তর।
সেইজনে কৃষ্ণকৃপা হইবে সত্বর।
বৈষ্ণবের নাম যদি করয়ে স্মরণ।
সর্ব্বপাপ মুক্ত হয় শুদ্ধ সেইজন।
কৃষ্ণসেবা হইতে বৈষ্ণব সেবা বড়।
পুরাণে বর্ণিত সত্য এই কথা দৃঢ়।।
বিষ্ণুপদচ্যুত হৈয়া গঙ্গা ঠাকুরাণী।
তথা হৈতে চলি আইল ভূবন-পাবনী।।
সেই সে শ্রীকৃষ্ণ প্রভু সর্ব্বতীর্থময়।
বৈষ্ণবের হৃদযেতে সতত উদয়।।
হেন বৈষ্ণবের সেবা করহ যতনে।
প্রেমভক্তি পাবে তবে কৃষ্ণের চরণে।।
তীর্থসেবা মুর্ত্তিসেবা করিতে করিতে।
অনেক দিবসে মন পারে সে শোধিতে।।
বৈষ্ণব দর্শন মাত্র অবিলম্ব কালে।
মনের বৈকল্য যত যায় অবহেলে।।
এ হেন বৈষ্ণব গুণ কহিব কি আর।
বৈষ্ণব ভজন কর সর্ব্ব বেদ সার।।
জাতি, বিদ্যা, রূপ আর মহত্ব যৌবন।
এই পঞ্চ পাশ ভাই করহ বর্জ্জন।।
ভক্তির কন্টক এই পঞ্চ অভিমানে।
ত্যাগ কর চিরকাল কহে শ্রীচরণে।।
(তথাহি শিক্ষাষ্টকে)
……………………………………..
তত্ত্বরসামৃত জ্ঞানমঞ্জরী
-শ্রীশ্রী চরণ দাস