ভবঘুরেকথা
গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু চৈতন্য নিমাই বৈষ্ণব

ভক্তির অঙ্গসমূহ:

১. শ্রীগুরুর পাদপদ্মে আশ্রয় গ্রহণ।

২. শ্রীগুরুদেবের নিকট কৃষ্ণমন্ত্রে দীক্ষা গ্রহণ ও শ্রীভগদ্বিযয়ে শিক্ষালাভ করা।

৩. শ্রীগুরুদেবকে ভগবৎস্বরূপ বিশ্বাস সহকারে সেবা করা।

৪. সাধুদিগের আচরিত শ্রূত্বাদি বিহিত বিধিসমূহের প্রতিপালন।

৫. সৎধর্ম্ম জিজ্ঞাসা অর্থাৎ ভগবৎধর্ম্ম তত্ত্ব অবগত হইবার জন্য তদ্বিষয়ে ভজন রীতি সম্বন্ধে প্রশ্ন করা।

৬.  শ্রীকৃষ্ণে প্রীতির নিমিত্ত ভোগাদি ত্যাগ করা।

৭. দ্বারকাদির ধামে বা গঙ্গাদির সমীপে বাস করা।

৮. নিয়মের ন্যূনতা বা আধিক্য হইলে পরমার্থ হইতে ভ্রষ্ট হইতে হয়, সে কারণে সর্ব্বপ্রকার কার্য্যে যে পরিমাণ নিয়মের অনুষ্ঠান করিলে আপনার ভক্তি নির্ব্বাহ হইতে পারে, সেইরূপ নিয়ম স্বীকার করা।

৯. হরি বাসর সম্মান অর্থাৎ একাদশীতে উপবাসাদি করা।

১০. আমলকী, অশত্থ, তুলসী, গো, ব্রাহ্মণ ও বৈষ্ণবের গৌরব রক্ষা।

১১. ভগবদ্বহির্ম্মখূ জনের সঙ্গ দূরে পরিত্যাগ করা।

১২. অনধিকারী ব্যক্তিকে শিষ্যরূপে অঙ্গীকার না করা।

১৩. আড়ম্বর পূর্ণ ভগবদ্বহির্ম্মুখ কার্য্যানুষ্ঠানের চেষ্টা না করা।

১৪. ভগবদ্বহির্ম্মুখ বহুবিধ গ্রন্থ ও চতু:ষষ্ঠি কলার অভ্যাস ও ব্যাখ্যা এবং তদ্বিষয়ে তর্কবিতর্ক পরিবর্জ্জন করা।

১৫. ভোজনাচ্ছদনে সাধন বিষয়ে লাভ না হইলে বা ক্ষতি হইলে শোক না করিয়া শ্লীহরির স্মরণ করা।

১৬. শোক, মোহ, ক্রোধাদির বশীভূত না হওয়া।

১৭. অন্য মাত্রকে উদ্বেগ না দেওয়া।

১৮. সেবাপরাধ ও নামাপরাধ জন্মিতে না দেওয়া।

১৯. কৃষ্ণভক্তের দ্বেষনিন্দাদি সহ্য না করা।

২০. তিলক মালা প্রভৃতি বৈষ্ণব চিহ্ন ধারণ।

২১. শরীরে হরিনামাক্ষর লিখন।

২২. নির্ম্মাল্য ধারণ।

২৩. শ্রীভগবানের অগ্রে নৃত্য করা।

২৪. শ্রীভগবানের দণ্ডবৎ প্রণাম করা।

২৫. শ্রীমূর্ত্তির পশ্চাৎ গমন।

২৬. শ্রীমূর্ত্তির পার্শ্বে বা অগ্রে গমন করা।

২৭. শ্রীভগবৎ স্থানে গমন বা তৎসম্বন্ধীয় চিন্তা।

২৮. শাস্ত্র নিন্দা না করা।

২৯. শ্রীভগবানের জন্য তুলস্যদির পরিক্রমা করা।

৩০. শ্রীভগবানের অর্চ্চনা পূজা করা।

৩১. শ্রীভগবান সেবা করা।

৩২. শ্রীভগবৎলীলাদি বিষয়ক গান করা।

৩৩. শ্রীভগবান পুণাদির সংকীর্ত্তন।

৩৪. শ্রীভগবান মন্ত্র জপ।

৩৫. শ্রীভগবৎ সমীপে আত্মবিষয়ে নিবেদন।

৩৬. শ্রীভগবানের স্তব পাঠ।

৩৭. নৈবেদ্যের আস্বাদ গ্রহণ অর্থাৎ প্রসাদ ভোজন।

৩৮. শ্রীচরণামৃত পান।

৩৯. পুষ্পমালাদির সৌরভ গ্রহণ।

৪০. শ্রীমূর্ত্তি স্পর্শন।

৪১. শ্রীমূর্ত্তি দর্শন।

৪২. আরতি ও উৎসবাদি দর্শন।

৪৩. শ্রীভগবন্নাম গুণাদি কীর্ত্তন ও তদীয় লীলা কথাদি শ্রবণ।

৪৪. শ্রীকৃষ্ণের কৃপার প্রতি নিরীক্ষণ করিয়া থাকা।

৪৫. শ্রীকৃষ্ণের স্মরণ।

৪৬. শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান।

৪৭. শ্রীভগবানের দাস্য অর্থাৎ তাঁহাকে কর্ম্মার্পণ ও সর্ব্বতোভাবে তাঁর দাসত্ব করা।

৪৮. শ্রীভগবানের বিশ্বাস ও মিত্রতা স্থাপন।

৪৯. শ্রীভগবানে আত্মসমর্পণ।

৫০. শ্রীভগবানকে অত্যুৎকৃষ্ট ও নিজ প্রিয় বস্তুসমূহ নিবেদন করা।

৫১. শ্রীকৃষ্ণের নিমিত্তেই সমস্ত চেষ্টা বা কার্য করা।

৫২. সর্ব্বতোভাবে শ্রীভগবানের শরণাগত হওয়া।

৫৩. তুলসী সেবন।

৫৪. শ্রীমদ্ভাগতবাদি বৈষ্ণব শাস্ত্রের সেবন।

৫৫. মথুরার সেবন।

৫৬. বৈষ্ণবাদির সেবন।

৫৭. স্বীয় বৈভবানুসারে সজ্জনগণের সহিত মহোৎসব করা।

৫৮. কার্ত্তিক মাসের সবিশেষরূপ সমাদর করা।

৫৯. জন্মাষ্টমী প্রভৃতি পর্ব্বদিনে যাত্রা মহোৎসব করা।

৬০. শ্রদ্ধা ও প্রীতিপূর্ব্বক শ্রীমূর্তি সেবন।

৬১. রসিক ভক্তের সহিত শ্রীমদ্ভগবতের অর্থ ও রস আস্বাদন।

৬২. নিজের সদৃশ বাসনা বিশিষ্ট ও নিজ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, স্নিগ্ধ প্রভৃতি সাধুর সঙ্গ করা।

৬৩. শ্রীভগবানের নাম সংকীর্ত্তন।

৬৪. মথুরামণ্ডলে বাস করা।

……………………………………..
তত্ত্বরসামৃত জ্ঞানমঞ্জরী
-শ্রীশ্রী চরণ দাস

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!