ভব নদীর ভাব না জেনে ধর না পাড়ি,
থাক সামাল সামাল মন ব্যাপারী।
নদীর ত্রিবীনায় তুফান ভারী।।
যে নদীর তরঙ্গ দেখে, কত যোগী ঋষি ভাবছে বসি, কিনারায় থেকে।
তারা চেয়ে আছে উর্দ্ধমুখে, (বলে) পার কর দয়াল হরি।।
যত সব সায়ারের নেয়ে, নদীর ভাব না জেনে বাদাম টেনে যেতেছে বেয়ে।
নদীর দখিন বাকের গোলায় গিয়ে, সাধ করে ডুবাচ্ছে সাধের তরী।।
প্রতি মাসে ছোটে সে নদীর বান, কত ধনীর ভরা যাচ্ছে তারা থাকবে সাবধান।
এবার গুরুর কাছে জান সন্ধান, ভব পারে যাবার ফিকিরী।
যার আছে গুরু কৃপাবল, সেই সে কেবল জানতে পারে কোন খানে কোন জল।
তার তরী যায় না রসাতলে, ও যার গুরু আছে কান্ডারী।।
তারকচাঁদ বারে বারে কয়, কে কে যাবি ভব পারে সময় বয়ে যায়।
এবার অশ্বিনী ভুলিল মায়ায়, আমি ঐ দুঃখে ঝুরে মরি।।