ভরা নদীর উজান বাঁকে ও রে সুজননাইয়া
এমন সুবাতাসে বাদাম দিয়া মরো কেন বাইয়া-
এমন আবেগ মনে যাবে কনে গনের জোয়ার পাইয়া।।
তোমার হালকাঠে লালচিত্র কাটা
পিতল মোড়া জোড়াকাটা
মরমে বিধিলো কাঁটা;
শরমে জড়াইয়া
যেন মুখের দশা মুখের ভাষা ফেলেছি হারাইয়া।।
শুনে গাজিরবহর সদর বাঁকে
আমি থাকি বাঁকে বাঁকে
জলকে চলি গোপন ফাঁকে;
কলসি কাঁখে লইয়া
তুমি বারেক ফিরে নদীর তীরে দেখলে না গো চাইয়া।।
কবে চঞ্চল ঢেউয়ের কানাকানি
অঞ্চল নিয়ে টানাটানি
জলস্রোতে কলসি খানি;
নিয়েছে ভাসাইয়া
আমার কি জ্বালা এ-অঙ্গে জ্বলে গাঙ্গেরজলে নাইয়া।।
তার বিরহে মিশে যারা
এমনি করে দিশেহারা
আগলছেড়া পাগলপারা;
সকর হারা হইয়া
পাগল বিজয়ের মন কাঁদবে এমন কবে তাহার সাড়া পাইয়া।।