ভাটির নদী বয়ে যায় রে কয়ে যায় তার শূন্য বুকের ব্যথা
জোয়ারে ভরিয়ে নদী যখনে সে উজান দিকে চলে
তার বিপুল স্রোতে দুকূল ভাসায় রে।
কুলকুল রবে নদী কতো কথা বলে
আবার ভাটির টানে ধীরে ধীরে
নদী সাগর মুখে কেঁদে ফিরে
তার হারানো মন চাহে ফিরে
ব্যাকুল বেদনায় রে।।
ভাটিতে হারায়ে নদী জোয়ারে জল ফিরে পায আবার
জীবের জীবন নদীর জোয়ার নাই রে ভাটিতে হারালে একবার
প্রবল স্রোতের বেগে গহীনগাঙ্গে
নদীর এক কূল গড়ে এক কূল ভাঙ্গে
মন তটিনীর দুকূল ভাঙ্গে
চর পরে না তায় রে।।
নদী তোর প্রবাহ ধারা ছুটে চলে অসীম সিন্ধুর টানে
আমার জীবন নদীর প্রবাহ আজরে কেঁদে ফিরে এক অজানার সন্ধানে
নদী তুই পেলি তোর প্রাণ বন্ধুরে
আমি পরে রইলাম অনেক দূরে
শুধু জীবন ভরে মরলাম ঘুরে
প্রবল পিপাসায় রে।।
নদী তোর মিলনের কেন্দ্র আছে রে তোর সাগর বন্ধুর ধারে
আমার সেই হতে কতো দিন যায় রে আজিয়ো দেখলাম না তাহারে
তবে যে যার আছে যায় তার কাছে
তারে না পেয়ে কি জীবের পরান বাঁচে
আমার পথ চাওয়া নয়নে আছে
তাহার প্রতীক্ষায় রে।।
অসীমের আসন ফেলে সমীমজীবে নদীর মতো ঘোরে
তাই শান্তজীবে মিলিতে চায় রে সেই অনন্ত সাগরে
শুধু স্বপন ঘোরে যায় না জীবের অভাব
মানুষ ফিরে চায় তার আপন স্বভাব
পাগল বিজয়ের এই শেষের জবাব
দীনবন্ধুর পায় রে।।