ভবঘুরেকথা
গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু চৈতন্য নিমাই বৈষ্ণব

সর্ব্বত্রাবর্স্থিতং শান্ত ন প্রকাশ্য জনার্দ্দন:।
জ্ঞানশ্চক্ষু বিহীনত্বা দ্বন্দ্ব সূর্য্য বিলোকিত:।।

(অধ্যাত্ম রামায়ণ)

সর্ব্বজীব প্রতি ভেদ কৃষ্ণ নাহি জানে।
মায়া অন্ধজীবতবু বহে ভেদজ্ঞানে।।
আমি কি আমার জীব ভেদজ্ঞান করে।
কে আমার আমি কার তাহা না বিচারে।।
কুলমান গোরবাদি ভেদজ্ঞান রয়।
অজ্ঞানান্ধ রূপে আত্মভেদ জনময়।।
ভেদজ্ঞানী হবে যিনি মুক্ত নহে কভু।
ভেদজ্ঞানে নাহি মিলিবেক সেই প্রভু।।
তন্ত্রমন্ত্র যাগযজ্ঞ জপ সংকীর্ত্তণ।
শ্রীগুরু আশ্রয় নিয়া করহ সাধন।।
শৈবশক্তি বৈষ্ণবাদি গাণ পত্য মতে।
নানা মত নানা ধর্ম্ম জীবনমুক্তিতে।।
ভেদজ্ঞানী কোন কর্ম্ম ফলনাহি পায়।
বেদান্তে নারদ কাছে বলেছে ব্রহ্মায়।।

জনম মরণ কিংবা পাপ পূণ্যচয়।
ভেদজ্ঞানী জীব মনে সদা যমভয়।।
ত্রিজগতে কৃষ্ণ যাতে আছয়ে ব্যাপিত।
ভেদজ্ঞানে কৃষ্ণভেদ জানিও নিশ্চিত।।
কৃষ্ণদেহ করি ভেদ কৃষ্ণকে ভজিলে।
কিংবা ফলমূল কাটি বৃক্ষে জল দিলে।।
হিংসা নিন্দা পরচর্চ্চা আত্ম অহঙ্কার।
কলহ বিদ্বেষ থাকে ভেদজ্ঞান যার।।
এ সব কার্যেতে মন থাকয়ে অশুদ্ধ।
অশুদ্ধ মনের কার্য নাহি হয় সিদ্ধ।।
মায়াচ্ছন্ন মন শুদ্ধ করিবারে চাহ।
আত্মজ্ঞান সূর্য্য তৃদে প্রকাশিয়া লহ।।
ব্রহ্মানন্দ উদয়েতে ডুবিবে আনন্দে।
কার্য্যসিদ্ধি হবে সর্ব্ব রবে সর্ব্বানন্দে।।

……………………………………..
তত্ত্বরসামৃত জ্ঞানমঞ্জরী
-শ্রীশ্রী চরণ দাস

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!