ভবঘুরেকথা

যতো মাতাল বইতাল করে ওরা।
আমার উপর অত্যাচার
মদ বেচা দোকানের চাকরি চাইনা আর।।

আমার ঘরে স্ত্রী কালনাগিনী
রাত্র ভরা হিরোইন খায়,
তাতে কিছু কম পরিলে
বারেবারে চোখ রাঙ্গায়।।

যদি কই আপকারি মাল
সে এমনি মারে ফাল,
আমি হই কত নাজেহাল
সামান্যে এক দোকান্দার।।

আমার কপাল দোষে ছেলে হাসে
বাংলা খায় বেশি বেশি,
তারে উচিত কিছু কইতে গেলে
মারতে আসে কিল ঘুসি।।

মাইইয়া চায় তার
পুরা বোতল সংসারি সকল,
না পাইলে মাল ডবল ডবল
মুখখানা তার করে ভার।।

আমার মস্ত বড় ভাই ভাবী
দেখায় শুধু গাঁয়ের জোর,
হিতাহিত জ্ঞান ছাড়া
ওরা মস্ত গাঁজাখোর।।

তার উপরে লোভ লালসা
আছি বড় কোন ঠাসা,
ভ্যান ভ্যান করে মাছি মশা
এই দুর্গন্ধ সয়না আর।।

এই দেহের দশ ইন্দ্রিয় অতি প্রিয়
থাকে নেশার জোকে বেসামাল,
তারা প্রতিদিনের অভ্যাসে
খাইতে আসে বাকি মাল।।

ওরা দেয় গালাগালি
পরে নেশাতে ঢলি,
আমার সাইধ্য নাই কিছু বলি
সব শালায় দুরাচার।।

করলাম একটানা চল্লিশ বছর
মায়না ছাড়া চাকরি,
আসাল ঘড়ের মসাল খাইয়া
পাকাইলাম চুল দাড়ি।।

মাতালেরি কপাল দোষে
পারগাটা কান্দে বসে,
সকাল সকাল চল্লাশ দেশে
সংসার পদে নমস্কার।।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!